ভোলার চরফ্যাশনে এক সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন থানায় এই জিডি করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সবুজ। তিনি চরফ্যাশন পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি। আর অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম দৈনিক বাংলা পত্রিকার চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি ও চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সাইফুলের স্ত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি শ্রেণিকক্ষে টেবিলের ওপর নিজের মেয়েকে বসিয়ে ছড়া শেখানোর একটি ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করলে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদও প্রকাশ করা হয়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সবুজের প্রতিবেশী হওয়ায় ধারণা করা হয়, ওই সংবাদ প্রকাশে আমার ইন্ধন আছে। এ কারণে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেন। সবুজ প্রকাশ্যে স্থানীয় লোকজনের সামনে আমাকে ও বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।’

তবে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাঁর (সাইফুল) সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তাঁকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা আমান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমান।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাকে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

‘রাকসু নির্বাচনে গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে সাইবার ইউনিট’

রাকসু নির্বাচন: একটি ভোটের জন্য ১৪ সেকেন্ড বরাদ্দ

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে বসে রয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। তার সঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফার্সি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী তাহের রহমানসহ শাখা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এদিকে, রাকসুর নির্বাচন উপলক্ষে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া কয়েকদিন ধরে হলগুলোতে যাতে কোনো বহিরাগত না থাকে, সেজন্য তল্লাশি কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “আশ্চর্য! সে কীভাবে ভেতরে ঢুকল, তা আমাদের জানা নেই। প্রতিটি গেটে চেকপোস্ট রয়েছে, আমরা কঠোর নিরাপত্তা দিচ্ছি। তারপরও কীভাবে সে প্রবেশ করল, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”

রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “উনি ঢুকলেন কীভাবে? উনার তো আসার কথা না এখানে। আচ্ছা, বিষয়টা আমি দেখছি।”

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহ আমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলে তিনি সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ