ভারত ম্যাচের আগে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
Published: 17th, October 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগমুহূর্তে বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য এলো এক সুখবর খবর। ফিফার সদ্য প্রকাশিত অক্টোবর মাসের বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১৮৪তম স্থান থেকে উঠে এখন তারা ১৮৩তম স্থানে।
এই সামান্য উন্নতিই এখন আশার আলো হয়ে জ্বলছে হামজা-জামালদের শিবিরে। কারণ এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে বাংলাদেশের লড়াকু মনোভাব। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে হংকংয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-৪ গোলে হারের পরও প্রতিপক্ষের মাঠে ১-১ গোলের ড্র এনে দিয়েছে মূল্যবান রেটিং পয়েন্ট। র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে সেই ড্র যেন আত্মবিশ্বাসের নতুন বার্তা দিয়েছে জাভিয়ের কাবরেরার দলকে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের গর্বিত স্পন্সর টেক জায়ান্ট
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের স্পন্সর হলো ওয়ালটন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এখন পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছে ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে। তার আগে জাতীয় দলকে আরও প্রস্তুত করতে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনাও করছে বাফুফে। কোচ কাবরেরা চান, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দল যেন ভারতের বিপক্ষেও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলতে পারে।
ফিফার নতুন র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা এক ধাপ এগিয়ে এখন দ্বিতীয় স্থানে। আর ফ্রান্স নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও পিছিয়েছে, তারা এখন সপ্তম অবস্থানে।
এশিয়ায় যথারীতি সেরা জাপান, তাদের অবস্থান ১৯তম। অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারত দুই ধাপ নেমে এখন ১৩৬তম। যা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা অনুপ্রেরণারও। বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপ প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর তিন ধাপ এগিয়ে ১৫৫তম স্থানে। আর হংকং দুই ধাপ পিছিয়ে ১৪৬তম অবস্থানে নেমেছে।
সব মিলিয়ে, ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে এই র্যাংকিংয়ে উন্নতি বাংলাদেশের জন্য শুধু সংখ্যার বিষয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা যদি ঢাকায়ও বজায় রাখতে পারে লাল-সবুজের দল, তবে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নভেম্বরের রাতগুলো হতে পারে নতুন আশার গল্পে ভরা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাঁর মিত্রদের সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্রে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সংবেদনশীল কূটনৈতিক ইস্যুগুলোর একটি তাইওয়ান। শুক্রবার প্রকাশিত ট্রাম্প প্রশাসনের ওই নথিতে এ ইস্যু নিয়ে ওয়াশিংটন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল।
এমন সময় নথিটি প্রকাশ করা হলো, যখন পূর্ব এশিয়ার জলসীমায় নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক শক্তি প্রদর্শন করেছে চীন। এর মধ্য দিয়ে দেশটি মূলত গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ান ও জাপানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক প্রাধান্য বজায় রেখে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যেকোনো সম্ভাব্য সংঘাত এড়ানোই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।’
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করার কথা কখনোই অস্বীকার করেনি দেশটি। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। এ নিয়ে আশপাশের ছোট ছোট দেশগুলোর সঙ্গে তাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রই দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক। মার্কিন আইনে তাইওয়ানকে আত্মরক্ষায় সহায়তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এ ইস্যুই বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের একটি বড় অস্বস্তির জায়গা।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহার করার কথা কখনোই অস্বীকার করেনি দেশটি।ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রণীত ২০১৭ সালের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্রের একটি বাক্যে তাইওয়ানের কথা তিনবার উল্লেখ করা হয়েছিল। আর নতুন কৌশলপত্রে তিনটি অনুচ্ছেদজুড়ে আটবার তাইওয়ানের উল্লেখ আছে। নথিতে বলা হয়েছে, ‘তাইওয়ানকে ঘিরে এত মনোযোগ থাকা স্বাভাবিক।’ বাণিজ্যসমৃদ্ধ জলপথে এর কৌশলগত অবস্থান এবং বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে দ্বীপটির আধিপত্যই এই মনোযোগের প্রধান কারণ।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত দ্বীপমালায় যুক্তরাষ্ট্র এমন সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলবে, যা যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে পারবে। তবে এককভাবে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এ জন্য মিত্রদের এগিয়ে আসতে হবে, ব্যয় বাড়াতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো— সমষ্টিগত প্রতিরক্ষার জন্য আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বাড়লে ট্রাম্প কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবেন, সে বিষয়ে তিনি এখনো পর্যন্ত কিছুই বলেননি। অবশ্য তাঁর আগের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার বলেছেন, চীন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।
আগামী বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প বেইজিং সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেখানে দুই দেশের নেতারা তাদের মধ্যকার বাণিজ্যিক লড়াই প্রশমিত করার ব্যাপারে আলোচনা করবেন।চুক্তি করার প্রবণতা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা— এসব কারণে টোকিও থেকে ম্যানিলা পর্যন্ত অনেক দেশে শঙ্কা বাড়ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাইওয়ান ও আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি সমর্থন কমাবে।
আগামী বছরের এপ্রিলে ট্রাম্প বেইজিং সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেখানে দুই দেশের নেতারা তাদের মধ্যকার বাণিজ্যিক লড়াই প্রশমিত করার ব্যাপারে আলোচনা করবেন।
গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি পার্লামেন্টে বলেন, তাইওয়ানে চীনের কোনো হামলা যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। এতে বেইজিং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।