সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
Published: 5th, December 2025 GMT
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে দেশটির আসির প্রদেশের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম নুরুল আলম (৩৫)। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের আকবরপাড়া এলাকার সালে আহমদের ছেলে। তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত নুরুল আলম ১০ বছর আগে সৌদি আরবে যান। সেখানে খেলনার ব্যবসা করতেন তিনি। মাইক্রোবাস চালিয়ে নিজেই বিভিন্ন খেলনা দোকানে দোকানে সরবরাহ করতেন। গতকাল রাতে তাঁর মাইক্রোবাসটিকে একটি লরি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা
তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে নিজেরাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরতলীর ১৮নং লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। এ দিন নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা না-নেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। খাতা সংগ্রহ, খাতা বিতরণ, শৃঙ্খলা রক্ষা, সব কিছুই সামলান তারা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, তবে পরীক্ষার সময় কর্মবিরতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলেন, সন্তানদের সারা বছরের পরিশ্রমের মূল্যায়ন এই পরীক্ষা। আন্দোলনের কারণে সেটা নষ্ট হতে দিতে পারি না। এ কারণে বাধ্য হয়ে নিজেরাই পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদুল করিম বলেন, ‘‘অভিভাবকদের তীব্র চাপ এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনার মুখে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। পরীক্ষায় অভিভাবকরাই সহযোগিতা করছেন।’’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিভাবকদের সহযোগিতায় আজকে লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কারণ সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে। অভিভাবকদের সহযোগিতা ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। জেলায় ৮০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা নিচ্ছেন না। যেসব শিক্ষক আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা নিচ্ছেন না তাদের তালিকা করা হচ্ছে।’’
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে ‘দৃশ্যমান অগ্রগতি’ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কমপ্লিট শাটডাউন ও সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
ঢাকা/কাঞ্চন//