ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ।

‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা।

আরো পড়ুন:

কাটপিসের ভয়েই সিনেমা করা হয়নি: দীপা খন্দকার

অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে

গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।”

আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!”

গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।” 

বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।   

নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়—“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।” 

নতুন এই গান নিয়ে সন্তুষ্ট ফারিণ। তার মতে, “আমাদের তো অনেক বাজেট সীমাবদ্ধতা। তারপরও চেয়েছি, গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। কেউ এটাকে শুধুই বাণিজ্যিক বা কেউ শুধু শিল্পও বলতে পারবে না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র র জন য ত সন য় এই গ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘হোমবাউন্ড’ সিনেমার নেপথ্য ঘটনাটি জানেন কি

সতর্কতা: লেখাটিতে ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমার স্পয়লার আছে।

মোহাম্মদ সাইয়ুব ও অমৃত কুমার—একজন ‘সংখ্যালঘু’ মুসলিম, আরেকজন জাতিগতভাবে ‘দলিত’; ভারতের উত্তর প্রদেশের বাস্তী জেলার দেবরি গ্রামের দুই বন্ধুর জীবনের গল্প পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক নীরজ ঘেওয়ান। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমাটি বহু দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

‘মাসান’ নির্মাণের এক দশক পর ‘হোমবাউন্ড’ নিয়ে এলেন নীরজ ঘেওয়ান। এ বছরের মে মাসে ৭৮ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়। প্রদর্শনী শেষে ছবিটি ৯ মিনিট ধরে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পায়। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে মুক্তি পায়, ২১ নভেম্বরে নেটফ্লিক্সে আসে।

‘হোমবাউন্ড’ সিনেমার দৃশ্যে ঈষাণ খাট্টার ও বিশাল জেঠওয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ