অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”

আরো পড়ুন:

বিভেদ মানুষ, সমাজ ও দেশকে দুর্বল করে দেয়: ধর্ম উপদেষ্টা

বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় দুটি যুগান্তকারী অধ্যাদেশ পাস

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চার দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আজও বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। খুব দ্রুত তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।”

নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান মো.

তৌহিদ হোসেন। 

এরপর উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। আজ বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পাশে ছিল চিরকুট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার হয়। এ সময় তাঁর পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়। তিনি খুলশী এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে বড় ভাইসহ মামার বাসায় থাকতেন।

সুমনের সহপাঠী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে মামার পুরো পরিবার তুরস্কে বেড়াতে যাওয়ায় বাসায় কেবল ফারুক ও তাঁর ভাই ছিলেন। গতকাল সকাল আটটার দিকে তাঁর বড় ভাই কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। সারা দিন ফারুক বাসায় একাই ছিলেন। বিকেলে তাঁর মা তাঁকে মুঠোফোনে কল করেন। তবে সাড়া পাননি। একপর্যায়ে তাঁর বড় ভাইকে মা বিষয়টি জানান। এরপর বাসার দারোয়ানের মুঠোফোনে কল করে ফারুকের খোঁজ নেন তাঁর ভাই। দারোয়ান ফ্ল্যাটে এসে কলিং বেল বাজিয়েও সাড়া পাননি। পরে ফারুকের বড় ভাই এসে দরজা খুলে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

লাশ উদ্ধারের সময় ফারুকের পাশে একটি হাতে লেখা চিরকুটও পাওয়া গেছে। পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, চিরকুটের লেখা ফারুকের। এতে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ না থাকার বিষয়টি লেখা ছিল।

জানতে চাইলে নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে লাশ হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, খবর শুনে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল নগরে গেছে। সবার ধারণা, এটি আত্মহত্যা। পুলিশ বিষয়টি যাচাই করে দেখছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ