বছরের প্রথম দিকে ঢাকায় গান পরিবেশন করেছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাবিশ’। বছরের শেষ দিকেও তাদের নিয়ে একটি কনসার্টের আয়োজন করেছে প্রাইম ওয়েব কমিউনিকেশনস। ভেন্যু ছাড়া সব ধরনের আয়োজন প্রস্তুত ছিল। ঢাকায় এসে পৌঁছায় ব্যান্ড কাবিশও। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কনসার্টের আয়োজক ভেন্যুর নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। তাই পাকিস্তানি ব্যান্ড দলটিকে এবার গান না গেয়েই বাংলাদেশ ছাড়তে হবে। আয়োজক সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।

‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের কনসার্টের পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আগামী নিবার্চন হবে জালেম ও ইসলামী শক্তির মধ্যে’

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ‘‘আগামী নিবার্চন হবে দুটি শক্তির মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে সকল জালেম শক্তি আরেক পক্ষে ইসলামী ও দেশপ্রেমিক শক্তি।’’

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার কার্যকর এবং নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘‘শিয়ালের মতো একশ বছর বাচার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বেঁচে থাকা উত্তম। যে বিভাগের নামের অংশে সিংহ রয়েছে সেই বিভাগের মানুষ আগামী নিবার্চনে সিংহের মতো লড়াই করবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা নিজেরা স্বাধীন হতে পারি নাই। এখনো বৈষম্য হচ্ছে, জুলুম হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে। এই বৈষম্য জুলুমমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার জন্য গঠিত হয়েছে আট দল।’’

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিয়ে নিজেই বৈষম্য তৈরি করছেন। শেখ হাসিনা বৈষম্য সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়ার পথ পেলেও আপনি পাবেন না। তাই সাবধান হয়ে যান।’’

সমাবেশে ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সচিবায়লসহ সকল প্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র আল্লাহর আইন ধারা পরিচালিত হবে। ইসলামবিরোধী কোন আইন চলবে না।’’

বাংলাদেশের সকল দল ইসলামের পতাকাতলে আসবে এই আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘২০১৪, ১৮ এবং ২৪ স্টাইলের নিবার্চন আমরা চাই না।’’ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্ঠাকে তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ হাদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হাক্কানী প্রমুখ। 
 
 

ঢাকা/মিলন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ