চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে মো. কাওসার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাইক্রোবাসের চালক বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হাটহাজারী উপজেলার নয়াহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

কুমিল্লায় ট্রলি উল্টে খালে, গোসলরত ৩ নারীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে গাড়িচাপায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু

নাজিরহাট হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো.

শাহেদ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার সকালে ফটিকছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর অভিমুখী মাইক্রোবাসটি নয়াহাট ফরহাদাবাদ স্কুল অতিক্রম করার সময় বিপরীতমুখী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের চালক কাওসার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী।

মো. শাহেদ আরো জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম

সরবরাহ ভালো থাকায় কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছে গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় সবজি ও চাষের মাছের দাম কমেছে গড়ে বিশ থেকে ত্রিশ টাকা পর্যন্ত। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সপ্তাহে সবজি বাজারে সরবরাহ ভালো থাকা দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, সেই বেগুন এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে মূলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

এছাড়াও এখন বাজারে প্রতি কেজি দেশি শশা ৮০টাকা, করলা ১০০ টাকা, গাজর (দেশি) ৮০ থেকে ১০০টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচমরিচ ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে মাছ ও মুরগির দাম 
বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে মাছের দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে চাষের মাছে কেজি প্রতি গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ সপ্তাহে বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকায়। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ মাছ ২০০ থেকে ২২০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচমেশালি ছোট মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ৪০০ গ্রাম ওজনের পদ্মার ইলিশ ১২০০টাকা এবং চট্টগ্রামের ইলিশ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এ সপ্তাহেও মুদি পণ্য উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। রসুন (দেশি)১০০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছে সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গত বুধবার সাংবাদিকদের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন, এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানত না। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্র হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

কী বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা
রাজধানীর রায়েরবাজারে কেনাকাটা করছিলেন শিক্ষার্থী হান্নান শাহ। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “সবজির দাম কমছে ঠিক আছে। কিন্তু মুদিবাজারে ও সয়াবিন তেলের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটরা মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কারণ মানুষ কিনতে বাধ্য। তাদের প্রতি সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ করা উচিত।”

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আলম বেপারী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কমেছে। সামনে আরো কমতে পারে। কারণ এখন চাষের মাছের সরবরাহ বেড়েছে।”

ঢাকা/রায়হান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ