ওয়াশিংটনে জমকালো আয়োজনে থাকছেন ট্রাম্পসহ মার্কিন ক্রীড়া তারকারা
Published: 5th, December 2025 GMT
ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) নির্ধারিত হচ্ছে ২০২৬ বিশ্বকাপে কোন দল কার মুখোমুখি হবে। ওয়াশিংটন ডিসির জন এফ. কেনেডি সেন্টারে আয়োজিত এই ড্র অনুষ্ঠানকে ঘিরে ইতোমধ্যেই জমেছে বর্ণিল উৎসব। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ঘুরে ‘গোল্ডেন ট্রফি’ এসে থেমেছে রাজধানীতে। যেখানে আজ বাংলাদেশের সময় রাত ১১টায় শুরু হবে আনুষ্ঠানিক ড্র।
এবারের ড্রয়ের মঞ্চে বিশেষ আকর্ষণ সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রিও ফার্ডিনান্ড। ইতিহাসঘেরা এই দায়িত্ব হাতে পেয়ে তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তার সঙ্গে কো-হোস্ট হিসেবে থাকছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ–জ্যামাইকান সাংবাদিক ও বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্রডকাস্টার সামান্থা জনসন। যিনি জাতিসংঘসহ বহু আন্তর্জাতিক আয়োজনে উপস্থাপনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
যদিও কোনো টেলিভিশন চ্যানেল ড্র অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখাবে না, দর্শকদের হতাশ হতে হচ্ছে না। ফিফা নিশ্চিত করেছে- ফিফা+ প্ল্যাটফর্ম ও ফিফা ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিনামূল্যে উপভোগ করা যাবে পুরো আয়োজন।
৩২ বছর পর আবারো বিশ্বকাপ ফুটবলের ঘরে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাই ফুটবলের পাশাপাশি দেশটির অন্যান্য জনপ্রিয় খেলাকে এক মঞ্চে আনতে চায় আয়োজকেরা। এ কারণেই ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মার্কিন ক্রীড়া অঙ্গনের বেশ কিছু সুপারস্টার- এনএফএল লিজেন্ড টম ব্র্যাডি, এনবিএ গ্রেট শাকিল ও’নিল, আইস হকির কিংবদন্তি ওয়েইন গ্রেটজকি, এবং বেসবল তারকা অ্যারন জাজ।
এতসব চোখধাঁধানো তারকার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারফরম্যান্স, আলো–আতশবাজি এবং বিশ্বকাপকে ঘিরে রোমাঞ্চকর পরিবেশে আজ রাতেই ফুটবলভক্তরা পেয়ে যাবেন ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর পূর্ণাঙ্গ ম্যাচআপ।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম
ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ।
‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
কাটপিসের ভয়েই সিনেমা করা হয়নি: দীপা খন্দকার
অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে
গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।”
আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!”
গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।”
বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়—“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।”
নতুন এই গান নিয়ে সন্তুষ্ট ফারিণ। তার মতে, “আমাদের তো অনেক বাজেট সীমাবদ্ধতা। তারপরও চেয়েছি, গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। কেউ এটাকে শুধুই বাণিজ্যিক বা কেউ শুধু শিল্পও বলতে পারবে না।”
ঢাকা/শান্ত