পিআর নিয়ে কোনো প্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না: চরমোনাই পীর
Published: 18th, October 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। পিআর নিয়ে কোনো প্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না।
আজ শনিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের আয়োজন সম্পন্ন করে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, রাজনীতি হলো পবিত্র জায়গা, সব নীতির সেরা নীতি হলো রাজনীতি। এই রাজনীতিতে গুন্ডা-বদমাশের কোনো স্থান হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়, যেখানে সব দল ও মতের মানুষ নিরাপদ। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে সন্ত্রাস হবে না, চুরি থাকবে না, দুর্নীতি হবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না। মানুষ না খেয়ে ঘুমাতে যাবে না, ঘরের দরজা খোলা রেখে মানুষ ঘুমাবে। কিন্তু কেন চোর, ডাকাত ঘরে প্রবেশের সাহস পাবে না। নারীরা রাতের অন্ধকারে একা হেঁটে গেলেও চোখ তুলে তাঁদের দিকে তাকানোর কেউ সাহস পাবে না।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মকবুল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সহসভাপতি মাওলানা গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন খান, চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে
দুঃশাসন হটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তুলে কৃষকের প্রকৃত মুক্তি আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিভবনে কৃষকের তেভাগা আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সিপিবি নেতারা এই মন্তব্য করেন।
সভায় নেতারা বলেন, তেভাগা আন্দোলন মূলত শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। কৃষকদের তেভাগা কায়েম হলেও মুক্তি মেলেনি। তেভাগা আন্দোলনের সময়কালে লড়াইটা ছিল জমিদার ও জোতদারের বিরুদ্ধে। এখন কৃষকের লড়াই বহুমাত্রিক। পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোয় পূঁজির মালিক, কৃষি উপকরণের উৎপাদক বহুজাতিক কোম্পানি, বাজার সিন্ডিকেটের একচেটিয়া বাণিজ্য কৃষকদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।
ইলা মিত্রের ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা দক্ষিণ কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা কমিটি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।
আলোচনা সভায় বক্তরা