কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, হেলপার নিহত
Published: 21st, October 2025 GMT
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চারমাইল এলাকায় কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়েছে একটি বাস। এ ঘটনায় ট্রাকটির হেলপার আলিমুল ইসলাম (২৬) মারা গেছেন। আহত হয়েছে তিনজন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোরে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। মারা যাওয়া আলিমুল নড়াইল সদর উপজেলার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ট্রাকের পেছনে অপর ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
তেঁতুলিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাঁচমাইল এলাকায় একটি ধান বোঝাই ট্রাক বিকল হয়। রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ট্রাকটি মেরামতের কাজ করছিলেন চালক ও হেলপার। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যশোরের চৌগাছাগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটির পেছনে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকের হেলপার আলিমুল মারা যান। আহত হন দুই গাড়ির চালক ও যাত্রীসহ তিনজন।
ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার এসআই ইয়াছির আরাফাত বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা এবং অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিরিট পানে ৭ মৃত্যু: কবর থেকে তোলা হলো চার মরদেহ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।
যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদরের পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন, খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম, নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী এবং শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২ দিনে ‘মদ পানে’ ৬ জনের মৃত্যু
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা মনির জানান, আদালতের নির্দেশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন বিষাক্ত স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে চারজনকে গোপনে দাফন করেন পরিবারের সদস্যরা। আদালতের নির্দেশে আজ ওই চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মারা যাওয়া সাতজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নফরকান্তি গ্রামের পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক খেদের আলী, খেজুরা হাসপাতাল পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম, পিরোজখালি স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক লালটু হোসেন, শংকরচন্দ্র মাঝেরপাড়ার শ্রমিক মোহাম্মদ শহীদ, ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার মিল শ্রমিক মোহাম্মদ সামির, ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরি পাড়ার শ্রমিক সরদার মোহাম্মদ লালটু এবং হায়াত আলী (৪৫)।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ