ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৩টিতে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। যে সাত আসন ফাঁকা রাখা হয়েছিল, এবার এর চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তবে ঢাকার তিনটি আসনে এখনো বিএনপির প্রার্থী নেই।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও ৩৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে গত ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।

প্রথম দফায় ঢাকার লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, কামরাঙ্গীরচর (আংশিক) ও কোতোয়ালি (আংশিক) এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭; সবুজবাগ, খিলগাঁও ও মুগদা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৯; ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০; মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর (আংশিক) নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩; ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও গুলশান-বনানী এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭; বৃহত্তর উত্তরা ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ এবং ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-২০ সংসদীয় আসন ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি।

আজ ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরপর বিএনপি ফাঁকা রাখল ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭ ও ঢাকা-২০ আসন। এর মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থকে বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে। তাঁরা দুজন ইতিমধ্যে বিএনপির ‘সবুজসংকেত’ পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন।

ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন। তাঁরা হলেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা জেলা সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস (মুরাদ), জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এবং ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান (অভি)। কিন্তু এই আসনে এখনো বিএনপি প্রার্থী দেয়নি।

ঢাকার চার আসনে যাঁদের নিয়ে আলোচনা ছিল

ঢাকা-৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান। আসনটি বিএনপি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হককে ছেড়ে দিতে পারে বলে আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা হয়নি। মামুনুল হকের দল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আট দলের অভিন্ন কর্মসূচির আন্দোলনে সক্রিয় আছে।

ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ। এ আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী। মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বিএনপির এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার ‘নীতির’ কারণে আফরোজা আব্বাস বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাও ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। এ আসন যখন বিএনপি ফাঁকা রেখেছিল, তখন এ আলোচনা সামনে এসেছিল যে তাঁর জন্যই বিএনপি আসনটি ফাঁকা রেখেছে কি না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৬ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন

বিনিয়োগকারীদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ৭১ সদস্যের এ কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মো. নজরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাজ্জাদুল হক।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী  ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজার বিষয়ক প্রশিক্ষণ: বিএএসএম-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা

৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ডিএসই

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুর ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হল রুমে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটি অনুমোদিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি এ.কে.এম. মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক (হারুন)। নবগঠিত কমিটি ঘোষণা ও অনুমোদিত করেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসেন।

পুনর্গঠিত বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী  ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মো. নুরুল হক (হারুন), সহ-সভাপতি এ. কে. এম. শাহাদাত উল্লাহ ফিরোজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইশতিয়াক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসীন, অর্থ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানসহ আরো অনেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ৭১ সদস্যে এ কমিটির এখনো কিছু পদ ফাঁকা রয়েছে। খুব শিগগিরই তা পূরণ করা হবে।

এদিকে, সংগঠনটির সবেক সভাপতি এ.কে.এম. মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে একটি উপদেষ্টামণ্ডলী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাঁচ আসনে বিএনপির নতুন প্রার্থী কারা
  • বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন
  • খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় কি না, দেখার পর তারেকের ফেরার সিদ্ধান্ত
  • কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তারকারা