ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাবেন যেভাবে
Published: 21st, November 2025 GMT
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া গেলেও ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া যায় না। তবে ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্প হওয়ার সময় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ।
গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন এলাকায় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে ২০২০ সালে আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করে গুগল। আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায় গুগল। গুগলের তথ্যমতে, অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম মূলত স্মার্টফোনে থাকা ক্ষুদ্র অ্যাক্সিলোমিটারের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের কম্পন পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠায়। ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি নিরাপদ থাকার পরামর্শও দিয়ে থাকে। ফলে ভূমিকম্প হলে আশপাশের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদ থাকার কৌশল জানানো যায়। ভূমিকম্প–সতর্কতা নিজের ফোনে চালুর জন্য প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ অপশন থেকে ‘আর্থকোয়েক অ্যালার্টস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে আর্থকোয়েক অ্যালার্টস অপশন চালু করতে হবে।
মাই আর্থকোয়েকবিশ্বজুড়ে এক কোটির বেশি মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মাই আর্থকোয়েক অ্যালার্টস ম্যাপ অ্যাপ ব্যবহার করেন। মাই আর্থকোয়েক অ্যালার্টস একটি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্প–সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প শনাক্ত করতে সক্ষম অ্যাপটি এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটির আইওএস সংস্করণ এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে।
মাইশেকযুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা মাইশেক অ্যাপটি তৈরি করেছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভূমিকম্প শনাক্ত ও ব্যবহারকারীদের রিয়েল-টাইম সতর্ক করতে স্মার্টফোন সেন্সর ব্যবহার করা হয়। ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্য সরবরাহ করে নাগরিকদের সিটিজেন-সায়েন্স প্রজেক্টে অবদান রাখান সুযোগ আছে এই অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যাপটি প্রায় ১০ লাখ ব্যবহারকারী ব্যবহার করছেন। অ্যাপটি এই ঠিকানা থেকে নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক অ য ল র টস ব যবহ র কর ভ ম কম প র র সতর ক ম সতর
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপে রেজল্যুশন ঠিক রেখে ছবি বা ভিডিও পাঠানোর ৪ কৌশল
হোয়াটসঅ্যাপে ফোন গ্যালারি থেকে ছবি বা ভিডিও পাঠালে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল কমপ্রেস করে। এর ফলে আকারে বড় ছবি বা ভিডিওর মান কমে যায়। স্মার্টফোনে বর্তমানে আলট্রা হাই ডেফিনেশন মানের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে অফিস বা ব্যবসা—সব ক্ষেত্রেই হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে বড় ফাইল আসল মান বজায় রেখে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপে রেজল্যুশন ঠিক রেখে ছবি বা ভিডিও পাঠানো সম্ভব। কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।
১. ডকুমেন্ট আকারে ফাইল পাঠানো
হোয়াটসঅ্যাপ ছবি বা ভিডিও অপশন দিয়ে পাঠানো ফাইল কমপ্রেস করে। তবে ডকুমেন্ট অপশন থেকে পাঠানো হলে ফাইলের মূল রেজল্যুশন অক্ষুণ্ন থাকে। এ জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে নির্ধারিত চ্যাটে গিয়ে ক্লিপ আইকনে প্রেস করতে হবে। এরপর ডকুমেন্ট অপশন নির্বাচন করে ফোনের সংরক্ষিত ফাইলটি পাঠাতে হবে। দুই গিগাবাইট পর্যন্ত ছবি, ভিডিও, প্রেজেন্টেশন বা অন্যান্য বড় ফাইল পাঠাতে এই কৌশল সবচেয়ে কার্যকর।
২. গুগল ড্রাইভে আপলোড করে লিংক পাঠানো
ফাইলের আকার যদি দুই গিগাবাইটের চেয়ে বড় হয়, তাহলে ক্লাউড স্টোরেজ, বিশেষ করে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য প্রথমে গুগল ড্রাইভে ফাইল আপলোড করতে হবে। আপলোড সম্পন্ন হলে ফাইলের মেনুতে গিয়ে শেয়ার বা অ্যাকসেস কন্ট্রোল অপশন থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ‘এনি ওয়ান ক্যান ভিউ দ্য লিংক’ অপশনটি চালু করতে হবে। এরপর শেয়ারেবল লিংক কপি করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে হবে।
৩. ফাইল ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
উই ট্রান্সফারের মতো অনলাইন ফাইল ট্রান্সফার প্ল্যাটফর্ম বড় ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সুবিধাজনক। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে কোনো অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করার প্রয়োজন হয় না। ব্যবহারকারীদের শুধু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা অ্যাপ খুলে নির্দিষ্ট ফাইল আপলোড করতে হয়। আপলোড শেষ হলে একটি ডাউনলোড লিংক পাওয়া যায়। সেই লিংক হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিলে গ্রহণকারী মূল রেজল্যুশনে ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারেন।
৪. জিপ বা রার ফাইল তৈরি
একাধিক ফাইল একসঙ্গে পাঠাতে চাইলে জিপ বা রার ফরম্যাট অত্যন্ত কার্যকর। এ জন্য প্রথমে একটি জিপ বা রার অ্যাপ ইনস্টল করে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো একত্র করতে হবে। এরপর জিপ ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে হোয়াটসঅ্যাপের ডকুমেন্ট অপশন থেকে ফাইলটি পাঠাতে হবে। যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ জিপ ফাইলকে ডকুমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে, তাই অ্যাপটি কোনো ধরনের কমপ্রেশন করে না। ফলে ছবির অ্যালবাম, বড় আকারের ফোল্ডার বা অনেক পেজের নথি পাঠাতে এটি দারুণ সুবিধাজনক উপায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া