দেশে এখন স্থায়ী জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ডেঙ্গু। এ বছর দেশের ৬৩ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমানে একাধিক ধরনের ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডেঙ্গু এত ব্যাপক ও জটিলভাবে ছড়াচ্ছে যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরের জেলা জয়পুরহাটে এ বছর এখনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে জেলার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, গত বছর এই জেলায় ডেঙ্গু রোগী ছিল।
দুই দশকের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হলেই সরকার নড়েচড়ে বসে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বলে, মশা নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করেছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে, মশা নিয়ন্ত্রণ করা তাদের কাজ নয়। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
কিন্তু দুই মন্ত্রণালয় তাদের কাজের বর্ণনা দিলেও বাস্তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছরই মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের ২০১৯ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর ন্যূনতম খরচ সরকারি হাসপাতালে ৫ হাজার টাকার বেশি, বেসরকারি হাসপাতালে খরচ ৫৩ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এই খরচ দেশের মানুষকে প্রতিবছর দিতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার থেকে মেট্রোরেলে করে বাসায় ফিরি। মনে হয় কারওয়ান বাজারেই মশা আমাকে কামড়াইছে। তবে আমি নিশ্চিত না। বাসায়ও কামড়াতে পারেসদরুল আমিন, ব্যাংক কর্মকর্তা২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। এই বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মানুষ কোনো পরিবর্তন দেখেনি। ২৫ বছর পরও মানুষের মধ্যে ডেঙ্গুর আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
সদরুল আমিনের মিরপুরের বাসার চারদিকে তারের জাল দিয়ে ঘেরা। বাসার মধ্যে মশা ঢোকা কঠিন। সদরুল আমিন তেজগাঁওয়ে একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ব্যাংকেও মশা প্রতিরোধের ব্যবস্থা দৃঢ়। তারপরও এই ব্যাংক কর্মকর্তা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারওয়ান বাজার থেকে মেট্রোরেলে করে বাসায় ফিরি। মনে হয় কারওয়ান বাজারেই মশা আমাকে কামড়াইছে। তবে আমি নিশ্চিত না। বাসায়ও কামড়াতে পারে।’
১ অক্টোবর সদরুল আমিনের জ্বর দেখা যায়। ৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। অফিস যাওয়া বন্ধ। বাসায় থেকে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধপথ্য খাচ্ছেন। প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীর যে কী দুর্বল, বলে বোঝাতে পারব না। ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত টানা বিছানায় শুয়ে ছিলাম। কবে অফিসে যাব বুঝতে পারছি না।’
সদরুল আমিন বা তাঁর চেয়ে জটিল অবস্থায় পড়া মানুষ ঢাকা শহরে অনেক। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। কেউ কেউ নিজ জেলার চিকিৎসার ওপর আস্থা রাখতে না পেরে ঢাকায় এসেছেন।
জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে হোক, মরে মরুক। তারা কার্যত কিছুই করেনি, তারা নির্বিকার। ডেঙ্গু এখন স্থায়ী সমস্যা। আশঙ্কার কারণ হচ্ছে, সমস্যা ভবিষ্যতে আরও জটিল হবে এমন আলামত দেখা যাচ্ছে।’
পরিস্থিতি কীস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতেই এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
এ বছর ব্যতিক্রমী ঘটনা বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ বছর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ হাজার ১৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন। ঢাকা ছাড়া দেশের আর কোনো জেলায় এত ডেঙ্গু রোগী দেখা যায়নি।
সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে হোক, মরে মরুক। তারা কার্যত কিছুই করেনি, তারা নির্বিকার। ডেঙ্গু এখন স্থায়ী সমস্যা। আশঙ্কার কারণ হচ্ছে, সমস্যা ভবিষ্যতে আরও জটিল হবে এমন আলামত দেখা যাচ্ছে।জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল২০ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ৬০ হাজার ৭৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মারা গেছেন ২৪৯ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা গেছে ঢাকা বিভাগে।
তবে এটাই ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা নয়। এটি সরকারের পরিসংখ্যান। সরকার একটি পদ্ধতিতে সব সরকারি ও কিছু বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে রোগ পরীক্ষার পর অনেক মানুষ নিজের মতো করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। তাঁদের তথ্য সরকারের এই পরিসংখ্যানে থাকে না।
সারা দেশেই এডিস মশা আছে। এবং এই মশার ঘনত্ব অনেক বেশি।মশাবিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশারকীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, প্রায় সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী থাকার অর্থ সবখানেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা আছে। মশাবিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা দেশেই এডিস মশা আছে। এবং এই মশার ঘনত্ব অনেক বেশি।’
কীটতত্ত্ববিদেরা বলেন, এডিস মশার ধরন দুটি: এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিকটাস। এডিস ইজিপ্টাই থাকে নগর এলাকায়, এডিস অ্যালবোপিকটাস থাকে গ্রামীণ পরিবেশে। কিন্তু দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলা সদর এখন নগরের চেহারা পেয়েছে। এসব জায়গা এডিস মশা বসবাসের উপযুক্ত।
কবিরুল বাশার বলেন, ‘আমরা উপজেলা পর্যায়ে এডিস ইজিপ্টাই পেয়েছি। আমাদের ধারণা, এডিস ইজিপ্টাই গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তবে আমাদের গবেষণা অব্যাহত আছে। এডিস ইজিপ্টাই নাকি এডিস অ্যালবোপিকটাস গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে খুব শিগগির তা প্রকাশ করব।’
কীটতত্ত্ববিদেরা বলেন, এডিস মশার ধরন দুটি: এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিকটাস। এডিস ইজিপ্টাই থাকে নগর এলাকায়, এডিস অ্যালবোপিকটাস থাকে গ্রামীণ পরিবেশে। কিন্তু দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলা সদর এখন নগরের চেহারা পেয়েছে। এসব জায়গা এডিস মশা বসবাসের উপযুক্ত।কেউ কথা শোনেননি, কেউ শোনেন নাজনস্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকে, কারিগরি সহায়তা বা করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়। কিন্তু সেই পরামর্শের তেমন কোনো গুরুত্ব দেন না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এর একাধিক নজির আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক কে কৃষ্ণমূর্তি ২০১৭ সালে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মধ্যবর্তী পরিকল্পনা তৈরি করে সরকারকে দিয়েছিলেন। তাতে মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদ্ধতি কী হবে এবং রোগ ব্যবস্থাপনায় কী করতে হবে, তার বিশদ বর্ণনা ছিল। জানা গেছে, রোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা তো দূরের কথা, এ নিয়ে কোনো আলোচনাই করেনি।
নজির আরও আছে। ২০১৯ সালে দেশে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তখন সরকারকে পরামর্শ দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ বি এন নাগপালকে ঢাকায় পাঠিয়েছিল। ওই কীটতত্ত্ববিদ ঢাকায় একাধিক অনুষ্ঠানে এডিস মশার চরিত্র–বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশদ বর্ণনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের সীমিত জনবল প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মশার উৎসস্থল চিহ্নিত করতে পারবে না, মশার ডিম পাড়া বন্ধ করতে পারবে না। এ জন্য মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এ বছরেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মশা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। ২০০০ সালে বা ২০০১ সালে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ চোখে পড়লেও ২০২৩, ২০২৪ বা ২০২৫ সালে তা দেখা যায়নি।
ডেঙ্গুর ধরনগুলো (সেরোটাইপ) দ্রুত পাল্টে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একটি ধরন একবার বিস্তারের পর দ্বিতীয়বার ফিরে আসতে সময় নিচ্ছে কম। এতে ডেঙ্গুতে একাধিকবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীননতুন উদ্বেগডেঙ্গু–বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর ধরন (সেরোটাইপ) চারটি: ডেন–১, ডেন–২, ডেন–৩ ও ডেন–৪। একটি ধরনে আক্রান্ত হলে শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হয়, মানুষ সেই একই ধরনের ডেঙ্গুতে আর আক্রান্ত হয় না। তবে অন্য ধরনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ একজন মানুষের সর্বোচ্চ চারবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। আবার দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগের তীব্রতা বাড়ে, মৃত্যুঝুঁকিও বেশি হয়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ১২ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরনগুলোর বারবার ফিরে আসের ঘটনা এখন দ্রুত ঘটছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সংক্রমণ বেশি ছিল ডেন–২ এর। তখন ডেন–১–এ কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৭–২০১৮ সালে ডেন–২ এর সংক্রমণ বেশি থাকলেও ডেন–১ ও ডেন–৩ তে আক্রান্ত মানুষ দেখা গেছে।
২০১৯ সালে ডেঙ্গুর বড় প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তখন মানুষ ডেন–৩ তে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবার ২০২৩ সালে ডেন–২–এর প্রকোপ ছিল বেশি। এখন ঢাকা শহরে ডেন–২ ও ডেন–৩–তে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে বরগুনার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেন–২ তে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেঙ্গুর ধরনগুলো (সেরোটাইপ) দ্রুত পাল্টে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একটি ধরন একবার বিস্তারের পর দ্বিতীয়বার ফিরে আসতে সময় নিচ্ছে কম। এতে ডেঙ্গুতে একাধিকবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।’
কোনো টোটকা বা ছিটেফোঁটা উদ্যোগে মশকনিধন বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব নয়। এখন দেশজুড়ে সারা বছর ধরে কাজটি করতে হবে। জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন কী করতে হবেডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কার্যকরভাবে মশকনিধন করতে হবে। শুধু ঢাকা শহর বা দু–একটি বড় শহরে বছরের কিছু সময় মশকনিধন কার্যক্রম চালালে হবে না। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি মশকনিধনে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদ ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো টোটকা বা ছিটেফোঁটা উদ্যোগে মশকনিধন বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব নয়। এখন দেশজুড়ে সারা বছর ধরে কাজটি করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মশকনিধনের কাজটিকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। পরপর কয়েক বছর কাজটি করা গেলে ফল পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র স থ ন য় সরক র জনস ব স থ য ড ঙ গ র ধরন সদর ল আম ন ক কর মকর ত প রথম আল ক র প রক প পর স থ ত সরক র র উদ য গ র র পর এক ধ ক সমস য এ বছর ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০
দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসের আসনসংখ্যা ৪৩৬।
এয়ারবাসটি স্পেনের ট্যুরেল থেকে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এয়ারক্র্যাফটটি গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহের মধ্যে খুলবে বিমানবন্দরের ই-গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নন-শিডিউল ফ্লাইটের সব খরচ মওকুফ করা হবে: উপদেষ্টা
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নতুন এই এয়ারবাস দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
নতুন এয়ারবাস যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউএস-বাংলার বহরে এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যা এখন ২৫টি। এয়ারক্র্যাফটের সংখ্যার বিচারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এখন দেশের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থা। এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ ছাড়াও তাদের বহরে রয়েছে ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্র্যাফট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।
ঢাকা/এসবি