নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান খেয়াঘাটে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে সদর নৌ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় মরদেহটি পুরোপুরি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। সদর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আমিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি জানান, নিহতের বয়স আনুমানিক ১৯ বছর হবে। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে মাদক সেবনের বেশ কিছু চিহ্ন রয়েছে। তার নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এটি হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান সদর নৌ থানার ওসি এ কে এম আমিনুল হক।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য য বক ন র য়ণগঞ জ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

চবির হল সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বললেন প্রাধ্যক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদে হল সংসদের নবনির্বাচিত রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বলার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত হল প্রাধ্যক্ষের নাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক।

আরো পড়ুন:

জোবায়েদ হত্যার বিচার যেন গ্রেপ্তারেই সীমাবদ্ধ না থাকে: জবি উপাচার্য

৩ দাবিতে রাবি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শাটডাউন

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ৪টায় রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হল সম্পাদক শিহাবুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। 

অভিযোগে তিনি বলেন, “আমি আজ (মঙ্গলবার) স্যারকে বলেছিলাম- আমাদের হল লাইব্রেরির জন্য নির্বাচনের আগে কিছু চেয়ার এসেছিল, সেগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি না; চেয়ারগুলো এখন কোথায় আছে? তিনি বললেন- ‘তুমি অফিসে জিজ্ঞেস করনি? তুমি এত প্রশ্ন করছো কেন? তুমি আমাকে বলার কে?’ পরে আমি আমার পরিচয় দিয়েছি। স্যারের কথা বলার ধরণ অস্বাভাবিক ছিল।”

তিনি আরো বলেন, “এরপর বলছিলাম- ‘স্যার, আমাদের লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা খুবই কম।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের সব ইশতেহার পূরণ করতে পারব না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড ম্যানেজ করে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করবা।”

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, “আমিও হল সংসদের সভাপতি, সে-ও আমার বডির একজন সদস্য। সে যদি আমার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে বিষয়টা নিয়ে হল সংসদের সবাই আগামীকাল একসঙ্গে বসে আলোচনা করব। আমরা তো সবাই এক পরিবারের অংশ। আমাদের মধ্যে কোনকিছু হলে সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে সমাধান করব।”

হল প্রাধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে এর আগে হলের শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দু-তিন মাসে একবার হলে যান। হলটিতে পানি-ওয়াইফাই সেবাসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও তিনি এসবের খোঁজ রাখেন না।

এ বিষয়ে গত আগস্ট মাসে এই প্রতিবেদক অধ্যাপক এনামুল হককে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস না করে অফিসে জিজ্ঞেস করো। তুমি আমাকে কল করার কে? তুমি কোন পত্রিকার সাংবাদিক সেটা আমি দেখব। তুমি বিভাগে কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করো।”

পরে বিভাগের গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে কল দিলে তিনি তার বক্তব্যের জন্য প্রতিবেদকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জানান, হলের সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ