এ যেন উৎসবের চমক, দীপিকার ভক্তদের জন্য এক বড় উপহার। দীপাবলির দিনেই অবশেষে প্রকাশ্যে এল দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংয়ের কন্যা দুয়া। প্রায় এক বছর আগে প্রথম দীপাবলিতেই মেয়ের নাম জানিয়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। এ বছর উৎসবের আবহে দেখালেন মেয়ের মুখও।
আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচটি ছবি শেয়ার করেছেন দীপিকা ও রণবীর। ছবি প্রকাশের পর যেন অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা—মুহূর্তেই ভাইরাল হয় পোস্টটি। মাত্র এক ঘন্টায় রিয়্যাক্ট পড়ে ২০ লাখলাখের বেশি! মন্তব্যের বন্যা বইছে ইনস্টাগ্রামে।

দীপাবলির সাজে মা-মেয়ে
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দীপিকার সঙ্গে রং মিলিয়ে সেজেছে ছোট্ট দুয়া। দুজনের পরনেই লাল রঙের জমকালো চুড়িদার, সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। দুয়ার মাথার দুই দিকে ঝুঁটি বেঁধেছেন দীপিকা। পাশে রণবীর সিং, সাদা ও ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানিতে দীপাবলির ভাবনায় সাজা।

ছবিগুলোয় কখনো দুয়া হাসছে, কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখাচ্ছে—মা-বাবার আদরে মাখামাখি প্রতিটি ফ্রেম। শেষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দীপিকার কোলে বসে মা-মেয়ে দুজনেই জোড়হাতে প্রার্থনা করছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘দীপাবলির শুভেচ্ছা’।

ভক্তদের কেউ লিখেছেন, ‘দুয়া ঠিক দীপিকার মতো,’ কেউ বলছেন, ‘রণবীরের ছাপ স্পষ্ট।’ নেট দুনিয়ায় ছোট্ট দুয়াকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঝড়।
২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দীপিকা পাড়ুকোন। গত বছর গণেশচতুর্থীর পরের দিনেই ইনস্টাগ্রামে মেয়ের নাম ‘দুয়া’ জানিয়েছিলেন তিনি, দিয়েছিলেন ছোট্ট পায়ের ছবি। ঠিক এক বছর পর দীপাবলিতেই মুখ প্রকাশ করে যেন পূর্ণতা দিলেন সেই মুহূর্তকে।

প্রেম থেকে পরিবার
রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ প্রেমের পর তাঁদের জীবনে এসেছে ছোট্ট দুয়া, ভালোবাসার পরিপূর্ণ প্রতীক হয়ে। দীপাবলির আলোয় তাঁদের পরিবারে এই খুশির রোশনাই ছড়িয়ে দিয়েছে বলিউডজুড়ে আনন্দের আলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ প বল র রণব র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ৩৫-৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে’

শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে এবং সম্পর্কের শীতল বরফ ভাঙতে ‘বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’ এবং ‘পর্যটন বিনিময়কে’ কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ।  এমনকি, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ৩৫-৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বুধবার কলকাতায় বণিক সভা ‘মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টিজ’ (এমসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। 

এমসিসিআই-এর সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে, হামিদুল্লাহ প্রত্যাশা করে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে যখন উভয় পক্ষই পরবর্তী পর্যায়ের বিষয়ে মূল্যায়ন করছে, ঠিক এমন এক সময়ে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সতেজ করতে সাংস্কৃতিক ও জনকেন্দ্রিক বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেদিকে তাকিয়ে দিল্লিতে একটি ‘বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজনের জন্য আলোচনা চলছে। যদিও এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। 

আরো পড়ুন:

ভারতে হামলার ছক, দুই বাংলাদেশিসহ ৫ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রাশমিকা

বণিক সভার সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন যাতে বৃদ্ধি পায়, সেবিষয়েও উৎসাহিত করেন হাইকমিশনার। 

গত আট মাস ধরে দিল্লিতে কর্মরত হামিদুল্লাহর অভিমত, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব মূলত একটি ‘খাঁটি আত্মিক সম্পর্ক’, পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিশ্বাসের উপর গড়ে ওঠা সম্পর্ক। এই সম্পর্কটি সভ্যতার বন্ধন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গঠিত একইরকম সামাজিক অবস্থার উপর নিহিত। 

তার যুক্তি, অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ব্যাপকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয় কারণ এর পিছনে একমাত্র দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেনটাকেই ধরা হয়ে থাকে। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক পণ্য বাণিজ্য ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি। কিন্তু চিকিৎসা পর্যটন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় পেশাদার এবং ভারতে অধ্যায়নরত কয়েক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করলে প্রকৃত সম্পৃক্ততা অনেক বেশি হবে। সেক্ষেত্রে এটা ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি হওয়া উচিত। কোথাও কোথাও ৩৫ থেকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। 

স্পর্শকাতর  কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকলেও দুদেশ আগামীতে যৌথ ভবিষ্যতের ধারণার দিকে অগ্রসর হতে পারবে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেছেন।

হামিদুল্লাহ বলেন, উভয় দেশ যখন তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সংবেদনশীল পর্যায়ে পাড়ি দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ সম্পৃক্ততার পরিধি প্রসারিত করার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর সেই কারণেই সাংস্কৃতিক কূটনীতি, পর্যটন সুবিধা প্রদান, গভীর অর্থনৈতিক একীকরণ এর দিকে ঝুঁকছে। 

বাংলাদেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে ভারতের ভেতর দিয়ে ভুটানে ট্রানশিপমেন্ট পণ্য পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ‘আলোচনার জন্য এটা উপযুক্ত স্থান নয়।’ দুই দেশের রাজধানী এটা নিয়ে আলোচনা করবে।

গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে পতন ঘটে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই ঘটনার পর ভারতে আশ্রয় নেয় হাসিনা। আর কার্যত সেই থেকেই দুই দেশের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। এরপর ভারতের চলমান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব যেমন বন্ধ হয়ে যায় তেমনি দুই দেশের তরফেই কঠোর ভিসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আরো বৃহৎ পরিসরে চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ও দুই দেশের চলাচলের উপর গুরুত্ব আরোপ নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট, ময়মনসিংহ নাকি অন্য কোনো দল—কারা হবে চ্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপের ড্র চূড়ান্ত, কে কোন গ্রুপে
  • গোপনেই শেষ হলো বাঁধন, সুনেরাহ ও শিমুদের শুটিং
  • সাংহাই থিয়েটার উৎসবে মূল বক্তা ইসরাফিল শাহীন
  • তারকা ভিকি নয়, এখন শুধু ‘বাবা’—জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা
  • প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
  • ‘ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ৩৫-৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে’
  • বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে, প্রথমবার সরাসরি জবাব দিলেন রাশমিকা
  • ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি বৈঠক করল লেবানন ও ইসরায়েল
  • স্বপ্ন এভাবেও পূরণ হয় জানতেন না সাকলাইন