বিরাট কোহলি ও রিতুরাজ গাইগোয়াড সেঞ্চুরি করে দলের রান নিয়ে গেলেন চূড়ায়। লোকেশ রাহুলের শেষ ঝড়ে মেলে প্রশান্তি। জোড়া সেঞ্চুরির জবাব আইডেন মার্করাম দিলেন সেঞ্চুরিতে। সঙ্গে আরো কয়েকটি ঝড়ো ইনিংস। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা রান পাহাড় টপকে যায় অতি সহজে। 

৭৫০ রানের উৎসবের ম‌্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তিন ম‌্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়পুরে আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে ভারত ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ বল আগেই লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায়। দুই দলের লড়াইয়ে এর আগে এতো রান হয়নি কোনো ম‌্যাচে। নতুন ইতিহাস লিখার দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখে ফুটল শেষ হাসি। 

বিরাট কোহলি ৫৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। যা ক্রিকেট বিশ্বের আর কেউ করতে পারেনি। ইয়াসভি জয়সয়াল ২২ ও রোহিত শর্মা ১৪ রানে আউট হওয়ার পর  বিরাট ও রিতুরাজ জুটি বাঁধেন। ৬২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দুই সেঞ্চুরিয়ান ১৯৫ রান যোগ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটিই ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি।  

এ সময়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন রিতুরাজ। ওয়ানডেতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। তার উদপানের পরপরই বিরাট পৌঁছে যান ল‌্যান্ডমার্কে। আগের ম‌্যাচেই রাঁচিতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। টানা দুই সেঞ্চুরিতে নিজের রেকর্ড নতুন করে ভাঙলেন তিনি। ওয়ানডেতে এবার নিয়ে এগারতম বার দুই ম‌্যাচে দুই সেঞ্চুরি পেয়েছেন বিরাট। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৩ বলে ১০২ রান করেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়। রিতুরাজ ৮৩ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৫ রান। 

ভারতের শেষ দিকের ব‌্যাটিং টেনেছেন লোকেশ রাহুল ও জাজেদা। রাহুল ৪৩ বলে ৬৬ রান করেন ৬ চার ও ২ ছক্কায়। জাদেজা ২ চারে ২৭ বলে করেন ২৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার ছিলেন মার্কো জানসেন। ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।

প্রোটিয়ারা জবাব দিতে নেমে ২৬ রানে ডি ককের উইকেট হারায়। সেখান থেকে প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তোলেন মার্করাম ও বাভুমা। মার্করাম তিন অঙ্ক ছুঁয়ে স্বস্তি ফেরালেও বাভুমা ৪ রানের আক্ষেপে পুড়েন। পঞ্চাশ থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আউট হন প্রোটিয়া অধিনায়ক। মার্করাম হাল ছাড়েননি। রান তাড়ায় বিন্দু পরিমাণে চাপ না নিয়ে ব‌্যাটিং করে ক‌্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৯৮ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১১০ রান করেন তিনি। 

ম‌্যাচের মোড় এরপর পাল্টে দেন ব্রিটস্কি ও ব্রেভিস। চার-ছক্কার সমারোহে দুজন রান তাড়া মামুলী বানিয়ে ফেলেন। ব্রিটস্কি ৬৪ বলে করেন ৬৮ রান। ৫ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।  ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৩৪ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। শেষটা রাঙিয়ে দেন করবিন বোচ। ১৫ বলে ২৯ রান করেন ৪ বাউন্ডারিতে।

অঙ্কের মতো হিসেব মিলিয়ে পুরো ইনিংসে ব‌্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইতো রানের পাহাড় পেরোতে তাদের কোনো ঝামেলাই হয়নি। শিশিরের প্রভাব থাকায় ভারতের বোলাররা কঠিন পরীক্ষা দিয়েছে। আর্শদ্বীপ ও প্রসিদ্ধ ‍কৃষ্ঞা ২টি করে উইকেট নেন।


ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মার্করাম।

আগামী ৬ ডিসেম্বর বিশাকপত্তনমে সিরিজের শেষ ম‌্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১-১ সমতা থাকায় ম‌্যাচটা অলিখিত ফাইনালে রূপ নিল।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন ম র কর ম ছক ক য় উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়

জেরিন, নিশাত ও নুসরাত তিনজনই ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির পড়াশোনার চাপে ফলাফলের পর তিন বান্ধবীর আর দেখা হয়নি। আজ বুধবার কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে দেখা হওয়ায় তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।

নিশাত তাসনিম বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে অনেক দিন বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। শুধু আড্ডা নয়, সবার ভর্তি প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

আজ ময়মনসিংহে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো জিপিএ–৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব ২০২৫’–এ যোগ দিয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃতী শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। উৎসবে সহযোগিতা করে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।

‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবারই প্রথম এই উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর পর আজ ময়মনসিংহে হলো ষষ্ঠ এ আয়োজন। অন্য বিভাগগুলোয়ও এমন আয়োজন হবে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি।

সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের লক্ষ্য লেখার বোর্ডে অনেকে লিখছিলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসব লেখায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন কিংবা ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।

অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা। বুধবার ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
  • বাউল–বিরোধিতার আড়ালে চলছে গ্রামের অর্থনীতি দখলের লড়াই
  • ময়মনসিংহে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব
  • ময়মনসিংহে ভোরের কুয়াশা মাড়িয়ে স্বপ্নবাজদের ভিড়
  • আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান