কাপ্তাই হ্রদে ভাসছে হস্তিশাবকের মৃতদেহ, পাহারায় মা
Published: 22nd, October 2025 GMT
হ্রদের কিনারায় ভাসছে হস্তিশাবকের মৃতদেহ। সেটি পাহারা দিচ্ছে শাবকটির মাসহ হাতির পাল। বন বিভাগের কর্মীরা মৃত শাবকটি উদ্ধারের চেষ্টা করতে গেলেই তেড়ে আসছে হাতির পালটি। এই দৃশ্য রাঙামাটির বরকল উপজেলা সুবলং ইউনিয়নের এলাকায় বরুণাছড়ি এলাকার।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের কিনারায় মৃত হস্তিশাবকটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে যান প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে হাতির পাল শাবকটি পাহারা দেওয়ায় সেটি আজ বুধবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বন বিভাগ জানায়, হালকা গোলাপি রঙের হস্তিশাবকটির বয়স প্রায় ৯ মাস। এটি এশিয়ান প্রজাতির। জানতে চাইলে আজ সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সুবলং রেঞ্জের কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মৃত হস্তিশাবকটি উদ্ধার করতে গতকাল থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। হাতির পালটি তাড়িয়ে শাবকটি উদ্ধার করলে এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে হাতির পালটি তাড়ানোর চেষ্টা না করে অপেক্ষা করা হচ্ছে। মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত করলে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে আজ বুধবার দুপুরে নগরের জিলা স্কুল মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তারা নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরুর দাবি জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, গণ অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকেরাও অংশ নেন। তাঁরা বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষের বৈষম্য দূর করার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শিগগির প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।
‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’–এর সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিস্তাপারের মানুষের দুর্দশা, নদীভাঙন ও হাহাকার থেকে মুক্তির জন্য তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের বাধাসহ ভূরাজনৈতিক কারণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী বলেন, ‘আমরা আর টালবাহানা দেখতে চাই না। তিস্তাপারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এনসিপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবির বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাউনিয়ার তিস্তা সেতুর কাছে সমাবেশ করে কথা দিয়েছেন। তিস্তাপারের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর নয়ন, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, রংপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী মুদাব্বির মারুফ প্রমুখ।