চুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গোসলের ভিডিও ধারণের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 23rd, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক ছাত্রের বিরুদ্ধে গোসলরত আরেক ছাত্রের ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা হলের পঞ্চম তলার একটি গোসলখানায় এক শিক্ষার্থী গোসল করছিলেন। সে সময় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পাশের গোসলখানা থেকে তাঁর ভিডিও ধারণ করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে হলের শিক্ষার্থীদের জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে হল প্রাধ্যক্ষের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনার ৯ দিনেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রশাসনের মামলা করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আতফান নূর বলেন, ‘এভাবে লুকিয়ে একজনের ভিডিও ধারণ করা গর্হিত অপরাধ। এ ঘটনার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সময় দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, পাশের গোসলখানা থেকে তাঁর ভিডিও করা হচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীটিকে হাতেনাতে ধরে মুঠোফোন কেড়ে নেন। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাঁকে প্রাধ্যক্ষের কাছে সোপর্দ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তিনি মুঠোফোন ওপরে রেখেছিলেন। কোনোভাবে হয়তো পানি বা ঘাম লেগে ভিডিও অন হয়ে গেছে। ইচ্ছাকৃত তিনি এ কাজ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রাধ্যক্ষ বিপুল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আমার হলের নন। তিনি শহীদ তারেক হুদা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে আমি ওই হলের প্রাধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একটি অভিযোগপত্র নিয়ে আমরা সেটি ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরে দিয়েছিলাম। তবে তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা আবার ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’
শহীদ তারেক হুদা হলের প্রাধ্যক্ষ নিপু কুমার দাস বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই হলে আমার শেষ কার্যদিবস ছিল। সেদিন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হলে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর ব্যবহৃত ফোনটি জব্দ করি। ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরকে এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’
এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ এ ঘটন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
নথি ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকি, চসিকে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) দুটি প্রতিষ্ঠানের পৌরকরের নথিতে ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা নথি পর্যালোচনা ও চসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরে ইছাহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের পৌরকর নির্ধারণে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থলে ২ মুছে দিয়ে ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়। একইভাবে, ইনকনট্রেন্ড ডিপোর ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পৌরকর ২ মুছে দিয়ে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় দেখানো হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘‘নথি ঘষামাজা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরও যোগসাজশ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সিগনেচার এক্সপার্ট ও ব্যাংকিং হিসেব তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব