মাছ ধরতে সাগরে যেতে প্রস্তুত জেলেরা
Published: 24th, October 2025 GMT
দীর্ঘ ২২ দিন সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেশিরভাগ জেলে এখন ধার-দেনায় জর্জরিত। অলস সময় কাটিয়েছেন তারা। অপেক্ষার প্রহর শেষে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে শুরু হবে মাছ ধরা। ইলিশসহ কাঙ্ক্ষিত মাছ শিকারের আশায় গভীর সাগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।
মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ ২২ দিন অর্থকষ্টে দিন কাটালেও তেমন আক্ষেপ নেই জেলেদের। শনিবার মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। তাই, তাদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। মাছ শিকারে গভীর সাগরে যেতে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
দীর্ঘদিনের নিরবতা ভেঙে মাঝি ও জেলেদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দর। কেউ ট্রলারে নতুন রং করছেন। কেউ জাল বুনছেন বা মেরামত করছেন। কেউবা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলছেন ট্রলারে। জেলেদের আশা, তাদের জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশসহ অন্যান্য মাছ।
মহিপুর বিএফডিসি ঘাট সংলগ্ন এলাকার জেলে আবদুল আজিজ বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন আমরা সরকার থেকে মাত্র ২৫ কেজি করে চাল পেয়েছি। তাও প্রকৃত সব জেলে পায়নি। ২৫ কেজি চাল দিয়ে তো আর সংসার চলে না। নিষেধাজ্ঞার আগেও আমরা তেমন ইনকাম করতে পারিনি। তাই, বেশ ধার-দেনা হয়ে গেছে। এবারও যদি মাছ না পাই, তাহলে সারা বছরই ঋণের বোঝা টানতে হবে।
কলাপাড়ার নীলগঞ্জ এলাকার জেলে সফিক হোসেন বলেন, আমরা সাগরে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। অনেক ট্রলার খাপড়াভাঙ্গা নদীর মোহনা পর্যন্ত গিয়ে নোঙর করে আছে। রাত ১২টার সঙ্গে সঙ্গেই সাগরে জাল ফেলব সবাই। আশা করছি, পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাব। তবে, যদি মাছ না পাই, তাহলে আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকবে না।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেছেন, এ জেলায় ৬৫ হাজার ইলিশ শিকারি জেলে আছে। নিষেধাজ্ঞা শতভাগ সফল হয়েছে। আশা করছি, জেলেরা জাল ফেললেই ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ পাবেন।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক হেনস্তা: একজনকে শাস্তি দিল বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা, সংঘর্ষ ও হেনস্তার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের আইটি সেকশনের সদস্য বিল্লাল হোসেন ফয়সলের এক মাসের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিল্লালের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিভি লটারিতে বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে বিভ্রান্তির অপচেষ্টা
ডিজিটাল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ দিল পিআইবি
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৯ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা, সংঘর্ষ ও হেনস্তার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির তদন্তের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের আইটি সেকশনের সদস্য বিল্লাল হোসেন এক মাসের জন্য তার সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে তিনি বিএনপির কোনো কার্যালয়ে কর্মরত থাকবেন না বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি