৯ কেজির কাতলা ধরে পুরস্কার পেলেন আড়াই লাখ টাকা
Published: 24th, October 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শৌখিন মৎস্যশিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন কামরুজ্জামান (৪২) নামের হবিগঞ্জের এক মৎস্যশিকারি। শুক্রবার সকালে বড়শি পেতে বেলা একটার দিকে তিনি ৯ কেজি ১০৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরেন। সেই কাতলা ধরে তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে জিতে নিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা।
সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার বিরেশ দিঘিতে আজ সকাল ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বড়শি (ছিপ) দিয়ে মাছ ধরার এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পৌনে তিন একরের দিঘিটির মালিক কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর পরিবার। তাঁদের কাছ থেকে দিঘিটি ৯০ লাখ টাকায় বন্ধক নিয়েছে ‘সরাইল মৎস্যচাষ প্রকল্প’ নামের একটি সমিতি। তারা দিঘিটিতে প্রতিবছর কয়েকবার মৎস্যশিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
সরাইল মৎস্যচাষ প্রকল্পের সভাপতি আলী মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এখানে প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা হয়। চলতি বছরে এটি চতুর্থ আয়োজন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শৌখিন মৎস্যশিকারিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও হবিগঞ্জ থেকে আসা ৩৪ জন মৎস্যশিকারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে অংশ নিতে তাঁদের প্রত্যেককে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। পরে লটারির মাধ্যমে তাঁদের আসন নির্ধারণ করা হয়।
সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার বিরেশ দিঘিতে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বড়শি (ছিপ) দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানতে চাপ দিতে হবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে হবে। প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে তীব্র সমালোচক দেশের একটি হচ্ছে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। শুরুতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও এখন তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে। গত মাসে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকের পর থেকে এই ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হামাস পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে, বরং তারা প্রকাশ্যেই তাদের অঙ্গীকার জানাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েলকে তার প্রতিশ্রুতি রাখতে বাধ্য করতে হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অস্ত্র বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে।
তুরস্ক জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নজরদারি করতে একটি টাস্কফোর্সে যোগ দেবে। প্রয়োজনে তুর্কি সেনারা সামরিক বা বেসামরিক উভয় ভূমিকায় কাজ করতে পারে। পাশাপাশি, গাজা পুনর্গঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ভূমিকাকে তিনি সমর্থন করেন না।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় কাজ করবে যে টাস্কফোর্স, তার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়। এটি বহুমাত্রিক একটি ইস্যু, তাই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমরা গাজাকে যেকোনোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি উপসাগরীয় দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনে অর্থায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই বিশাল কাজটি কোনো একক দেশের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও তুরস্কের দীর্ঘদিনের মিত্রতা নতুন নিম্নস্তরে নেমে এসেছে। আঙ্কারা অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে—যা ইসরায়েল বারবার অস্বীকার করেছে।