ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে ‘গুরুতর চুরির’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অফিস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসে কাজ করার পাশাপাশি ঠিকাদার হিসেবে গোপনে অন্য একটি কাজ করছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম মেহুল গোস্বামী (৩৯)।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয় এবং সারাতোগা কাউন্টি শেরিফের অফিসের যৌথ তদন্তে জানা যায়, গোস্বামীর এই অবৈধ কাজের মাধ্যমে কর দাতাদের ৫০ হাজার ডলারের (প্রায় ৫১ লাখ টাকা) অপব্যবহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গোস্বামী নিউইয়র্ক স্টেট অফিসের জন্য (বাড়ি থেকে) কাজ করতেন। এটি ছিল তাঁর প্রধান চাকরি। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি ২০২২ সালের মার্চ থেকে মাল্টার একটি সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজের ঠিকাদার হিসেবেও কাজ শুরু করেন।

একটি বেনামি ই–মেইলের মাধ্যমে গোস্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগে বলা হয়, যে সময়ে রাজ্যের কর্মী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করার কথা, ঠিক সেই সময়ে একটি বেসরকারি নিয়োগকর্তার জন্যও তিনি কাজ করেছেন।

সিবিএস ৬ নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্সপেক্টর জেনারেল লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গোস্বামীর আচরণ সেই বিশ্বাসের গুরুতর লঙ্ঘন। রাজ্যের জন্য কাজ করার কথা বলে একই সঙ্গে অন্য একটি নিয়মিত চাকরি করা করদাতাদের অর্থসহ জনসম্পদের অপব্যবহার ছাড়া আর কিছু নয়।

১৫ অক্টোবর সারাতোগা কাউন্টি শেরিফের অফিস গোস্বামীকে দ্বিতীয় মাত্রার গুরুতর চুরির জন্য গ্রেপ্তার করেছে। এটি নিউইয়র্ক রাজ্যে একটি মারাত্মক ক্লাস ‘সি’ ধরনের অপরাধ, যার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

পরের সপ্তাহে মাল্টা টাউন কোর্টের বিচারক জেমস এ ফাউসির সামনে গোস্বামীকে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে জামিন ছাড়াই অবশ্য মুক্তি দিয়েছেন, তবে মামলাটি চলবে।

ল্যাং আরও বলেন, ‘আমার অফিস নিউইয়র্ক রাজ্যের জনসেবার সততাকে ক্ষুণ্নকারী যে কারও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।’

টাইমস ইউনিয়নের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোস্বামী রাজ্যে প্রকল্প সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ১৮ ডলার প্রায়। তাঁর এই ঘটনা বাড়ি থেকে চাকরি করা কর্মীদের ‘গোপনে আরেকটি কাজ’ করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন উইয র ক র জন য গ র তর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় সন্তানের বাবা হলেন রুমি

তৃতীয়বারের মতো পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন আরফিন রুমি। ছেলের নাম রাখা হয়েছে কিয়ান আরফিন আরহান। আজ বুধবার নিউইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁর স্ত্রী কামরুন নেসা মা হয়েছেন, খবরটি নিশ্চিত করেছেন রুমি।

দুই দশকের পেশাদার সংগীতজীবন গায়ক–সুরকার ও সংগীত পরিচালক আরফিন রুমির। এই শিল্পী আজ আবার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্তগুলোর একটির সাক্ষী হয়েছেন। তৃতীয়বারের মতো তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন।

আজ বুধবার নিউইয়র্ক সময় সকাল সাড়ে সাতটায় যুক্তরাষ্ট্রে রুমির স্ত্রী কামরুন নেসা সুস্থভাবে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আনন্দের এই খবরটি নিজেই নিশ্চিত করেছেন রুমি।

আরফিন রুমি ও কামরুন নেসা দম্পতির বড় সন্তান আয়ান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজ দেশে জলবায়ু বিপর্যয়ে নিউইয়র্কে ঠাঁই, সেখানেও বিতাড়নের ভয়
  • তৃতীয় সন্তানের বাবা হলেন রুমি