কয়েক দশক ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে রহস্যময় ও অনাবিষ্কৃত স্থান হিসেবে আলোচিত। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্যালোকে আলোকিত সমভূমির বিপরীতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি চিরস্থায়ী অন্ধকারে ঢাকা থাকে। আর তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা বিশাল আইটকেন অববাহিকা সম্পর্কে জানতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা আইটকেন অববাহিকা উত্তর দিক থেকে আসা একটি গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এত দিন ধারণা করা হতো, দক্ষিণ দিক থেকে আসা কোনো গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছিল অববাহিকাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জেফরি অ্যান্ড্রুজ-হান্নার নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রহাণুটির আঘাত চাঁদের অভ্যন্তরের গভীর ম্যাগমা মহাসাগর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। যে গ্রহাণু এই বিশাল গহ্বর তৈরি করেছিল, তা দক্ষিণ দিক থেকে নয়, বরং উত্তর দিক থেকে আঘাত হেনেছিল। এই তথ্য চাঁদের প্রারম্ভিক ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে। চাঁদের দুই প্রান্তে বিস্তৃত এই অববাহিকা চাঁদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জুড়ে রয়েছে। আর তাই স্থানটিতে চাঁদ গঠনের প্রাথমিক সময়কার অনেক তথ্য রয়েছে।

নতুন গবেষণার তথ্যমতে, চাঁদের আইটকেন অববাহিকা দক্ষিণ দিকে বেশ সরু। সেখানে অ্যাভোকাডোর মতো কাঠামো আছে। এর মানে, গ্রহাণুটি উত্তর দিক থেকে এসে আড়াআড়িভাবে আঘাত হেনেছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রুজ-হান্না বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে দক্ষিণ মেরুর আইটকেন অববাহিকার সীমানা নির্ধারণ করেছি। প্রতিবারই দেখা গেছে যে অববাহিকাটি দক্ষিণ দিকে সরু হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চাঁদ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে সেখানে বিশাল ম্যাগমা মহাসাগরের আচ্ছাদন ছিল। এরপর সেখানে ভারী খনিজ নিচে নেমে গিয়ে ম্যান্টল ও হালকা উপাদান ওপরে উঠে ভূত্বক তৈরি করে। পটাশিয়াম, বিরল মাটির উপাদান ও ফসফরাস ম্যাগমা মহাসাগরের শেষ স্তরে কেন্দ্রীভূত হয়। নতুন গবেষণা বলছে, দক্ষিণ মেরুর অববাহিকায় গ্রহাণুর আঘাতে ম্যাগমা মহাসাগরের গভীর স্তর পর্যন্ত খাদ তৈরি হয়। সেই আঘাতে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান অসমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহ ণ ম য গম

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্য উন্মোচন

কয়েক দশক ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে রহস্যময় ও অনাবিষ্কৃত স্থান হিসেবে আলোচিত। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্যালোকে আলোকিত সমভূমির বিপরীতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি চিরস্থায়ী অন্ধকারে ঢাকা থাকে। আর তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা বিশাল আইটকেন অববাহিকা সম্পর্কে জানতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে থাকা আইটকেন অববাহিকা উত্তর দিক থেকে আসা একটি গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছে। এত দিন ধারণা করা হতো, দক্ষিণ দিক থেকে আসা কোনো গ্রহাণুর আঘাতে তৈরি হয়েছিল অববাহিকাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জেফরি অ্যান্ড্রুজ-হান্নার নেতৃত্বে পরিচালিত নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রহাণুটির আঘাত চাঁদের অভ্যন্তরের গভীর ম্যাগমা মহাসাগর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। যে গ্রহাণু এই বিশাল গহ্বর তৈরি করেছিল, তা দক্ষিণ দিক থেকে নয়, বরং উত্তর দিক থেকে আঘাত হেনেছিল। এই তথ্য চাঁদের প্রারম্ভিক ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে। চাঁদের দুই প্রান্তে বিস্তৃত এই অববাহিকা চাঁদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জুড়ে রয়েছে। আর তাই স্থানটিতে চাঁদ গঠনের প্রাথমিক সময়কার অনেক তথ্য রয়েছে।

নতুন গবেষণার তথ্যমতে, চাঁদের আইটকেন অববাহিকা দক্ষিণ দিকে বেশ সরু। সেখানে অ্যাভোকাডোর মতো কাঠামো আছে। এর মানে, গ্রহাণুটি উত্তর দিক থেকে এসে আড়াআড়িভাবে আঘাত হেনেছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রুজ-হান্না বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে দক্ষিণ মেরুর আইটকেন অববাহিকার সীমানা নির্ধারণ করেছি। প্রতিবারই দেখা গেছে যে অববাহিকাটি দক্ষিণ দিকে সরু হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চাঁদ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে সেখানে বিশাল ম্যাগমা মহাসাগরের আচ্ছাদন ছিল। এরপর সেখানে ভারী খনিজ নিচে নেমে গিয়ে ম্যান্টল ও হালকা উপাদান ওপরে উঠে ভূত্বক তৈরি করে। পটাশিয়াম, বিরল মাটির উপাদান ও ফসফরাস ম্যাগমা মহাসাগরের শেষ স্তরে কেন্দ্রীভূত হয়। নতুন গবেষণা বলছে, দক্ষিণ মেরুর অববাহিকায় গ্রহাণুর আঘাতে ম্যাগমা মহাসাগরের গভীর স্তর পর্যন্ত খাদ তৈরি হয়। সেই আঘাতে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান অসমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ