ঢাকার একটি কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ছেন জামাল হোসেন। পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকলেও তাঁর ধ্যানজ্ঞান নিজ গ্রাম টিপারবাজার। আদিতমারীর এই গ্রামে একটা পাঠাগার গড়ে তুলেছেন এই তরুণ, মানুষকে বই পড়াতে উৎসাহিত করতে এলাকায় নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব দেখে তাঁর সঙ্গে প্রায় আট বছর ধরে পরিচয়। তবে সামনাসামনি দেখা হলো গত মাসের মাঝামাঝি। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এসেছিলেন। সেই প্রশিক্ষণ–শিবিরেই সরাসরি আলাপ। জানালেন অনেক স্বপ্নের কথা।

পাঁচটি শ্রেণিতে ১২ জন তরুণকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রবীণদের প্রতি সেবা ও সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন জামাল হোসেন। সেই স্বীকৃতির কথা মনে করিয়ে দিতেই মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল তাঁর। তারপর জানতে চাইলাম ‘সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠার গল্প।

একটি পাঠাগার, একটি স্বপ্নসারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারের পাঠকেরা বইয়ের পাশাপাশি পত্রিকা পড়ার সুযোগ পান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম

পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।

এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ