শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন রূপগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে  ইমাম-খতিব কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

২৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে উপজেলার টান মুশুরী সফুরা কমিউনিটি সেন্টারে এ কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ মুফতি শামীম মজুমদার। 

শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ মাসুম, আদিশিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আরমান মোল্লা,  মহাসচিব মুফতি শরিফ উল্লাহ তারেকী,  সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আতিকুল্লাহ বিন রফিক। 

কনফারেন্সে শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন নবসুর শিল্পীগোষ্ঠী ইসলামিক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ইসলাম ধর্ম কখনো কঠোরতা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে দাওয়াত দেন না। হিকমাহর সাথে ডাকতে হয়। যারা ভয় ভীতি দেখায়,ইমাম, খতিব মুয়াজ্জিনগং স্ব স্ব এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে ভয়কে প্রতিহত করতে হবে।

তারা মসজিদে থেকে কুরআন হাদিসের আলোকে বয়ান করবেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ কনফ র ন স

এছাড়াও পড়ুন:

মুসুল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম

শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসুল্লিদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে আধুনিক ওয়াশ ব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া।

প্রায় ছয় দশক আগে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই মসজিদটিতে এতদিন পর্যন্ত মুসুল্লিদের জন্য ছিল না স্বাস্থ্যসম্মত কোনো অজুখানা, প্রস্রাবখানা, এমনকি ভালো একটি পায়খানাও। জরুরি প্রয়োজনে নামাজে আগতরা জেলা আইনজীবী সমিতির পায়খানা ব্যবহার করতেন।

পাশেই আদালত চত্বর ও একাধিক বিপণিবিতান থাকায় যোহরের নামাজের সময় ওজু বা বাথরুম ব্যবহারের জন্য মুসুল্লিদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

স্থানীয়রা জানান, পুরাতন কোর্ট এলাকা হওয়ায় এখানে বিচারক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষও দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে আসেন।

দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটি নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন থমকে ছিল।

তবে এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া বিষয়টি জেনে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেন। তিনি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আধুনিক ওয়াশ ব্লকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ডিসি সাহেবের এই উদ্যোগের পরে মুসুল্লিদের দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে।”

মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, জেলা প্রশাসক মসজিদের মুসুল্লিদের ভোগান্তির কথা জানা মাত্রই আন্তরিকতা নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, “এখানে অনেক সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নামাজ পড়তেন, কিন্তু তারা নিজেরা মসজিদের অজুখানা বা বাথরুম ব্যবহার করতেন না বলে সমস্যাটা হয়তো তাদের চোখে পড়েনি। এই জেলা প্রশাসক একেবারেই ভিন্নধর্মী মানুষ—উনি সত্যিই আলাদা।”

মসজিদ কমিটির সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন বলেন, “প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি মুসুল্লি এখানে নামাজ আদায় করেন, কিন্তু তাদের জন্য ছিল মাত্র একটি পুরনো বাথরুম। জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত অর্থে আমরা একটি আধুনিক ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করছি, যেখানে পর্যাপ্ত অজুখানা ও বাথরুম থাকবে।”

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগের প্রসঙ্গে হাজী কামাল আরও বলেন, “এই ডিসি সাহেব সৎ, দেশপ্রেমিক এবং নির্দলীয় সরকারি কর্মকর্তা। আমরা যখন প্রস্তাব দিই, তিনি নিজেই নতুন মসজিদ কমিটি গঠন করে কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। উনার ইচ্ছে—আল্লাহর ঘর যেন সবসময় উন্নত থাকে।”

এর আগে সমবেত মুসুল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্যকালে ডিসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জেলা প্রশাসক হিসেবে এই জেলায় যোগ দেওয়ার পরে এর আগে এই মসজিদে এসেছিলাম। আমাকে এই মসজিদের সার্বিক বিষয় জানানো হয়েছিল।

আমাদের সাধ আছে, অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য সীমিত। আমরা ইতিমধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এনেছি আমাদের মুসুল্লি ভাইদের জন্য, যারা ওজু করতে আসেন, নামাজ পড়তে আসেন—তাদের জন্য সুন্দর একটা ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে।

আমি আগামীতেও এখানে কত বরাদ্দ দেওয়া যায় সেটা চেষ্টা করব। আগামী মাসেই আরেকটা বরাদ্দের জন্য আবেদন করব,”—যোগ করেন ডিসি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন মসজিদ কমিটি না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের অনুরোধে পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের মাত্র সাত দিনের মাথায় মসজিদ উন্নয়নে কাজ শুরু করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া।

বর্তমানে দুই তলা বিশিষ্ট এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় এক হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পরিচালনায় রয়েছেন একজন খতিব, দুজন মুয়াজ্জিন, দুজন খাদেম এবং একজন ক্লিনার।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগায়ে এবি পার্টির গণসংযোগ
  • সোনারগাঁয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প কার্যক্রম চলমান থাকবে : মামুন মাহমুদ
  • যুব ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের সাকিব ও ইফতি
  • নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে: রিজওয়ানা হাসান
  • সোনারগাঁয়ের পঞ্চমীঘাটে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প
  • বন্দরের নবীগঞ্জে শিল্পপতি বাবুলের উঠান বৈঠক 
  • বন্দরের নবীগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুলের উঠান বৈঠক 
  • নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি, অন্যদের একক প্রার্থী
  • মুসুল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম