গ্রেপ্তার বাবাকে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুটিকে কে চড় মারল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ
Published: 25th, October 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন মেয়েটিকে চড় মারেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ দাবি করেছে, তাদের কোনো সদস্য শিশুটিকে চড় মারেননি। ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে তারা।
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো.
ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারেন। পরে শিশুটিকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন। কয়েকজন লেখেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতেই পারে। কিন্তু বাচ্চা মেয়েটাকে এভাবে মারা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কেউ কেউ লেখেন, ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ কেউ আবার রুস্তমকে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কর্মী দাবি করে তারও সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুনজেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে তরুণ নিহত২৩ অক্টোবর ২০২৫এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। ইয়াবাসহ রুস্তম গ্রেপ্তার হওয়ার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারেন। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
রুস্তমের বিষয়ে জুয়েল রানা জানান, তিনি (রুস্তম) শুধু মাদকের সঙ্গে জড়িত নন, জাহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও।
আরও পড়ুনজেনেভা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান, অস্ত্র-মাদক উদ্ধার, আটক ৪২৪ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর চড় ম র ন র স তম র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দু’জায়গাতেই অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাবনার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো অংশ প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল রাতে ভাবনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে নারীর সঙ্গে পুরুষের বিশ্বাসঘাতকতার একটি চিত্রায়ণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘খুকুমণির’ বিয়ে
রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!
এ বিষয়ে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “একজন প্রতারক পুরুষ তার বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে। কিন্তু যে নারীকে সে আঘাত করেছে, তাকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তা প্রকাশ করেন। প্রতিটি মিথ্যা, যা সে পেছনে বলেছে, নীরবে ভাঙা প্রতিটি প্রতিশ্রুতি, কান্নার প্রতিটি মুহূর্ত, অথচ পুরুষটি ভান করেছে সব ঠিক আছে। তবে আল্লাহ সব দেখেন, যা সে দেখতে পায় না।”
কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। এমন তথ্য স্মরণ করে ভাবনা বলেন, “একজন পুরুষ ভাবেন, তার কর্ম ঢাকতে সে যথেষ্ট চতুর। কিন্তু কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। তাকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ সত্য প্রকাশ করেন না। বরং সেই নারীকে জীবনভর কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি করেন।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা হয়তো গোপনে করা হয়। কিন্তু তার প্রকাশ হলো ঐশ্বরিক সুরক্ষা। আল্লাহ যখন পর্দা সরিয়ে দেন, তা শাস্তি নয় বরং এটা উদ্ধার। আমি এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ।”
তবে ভাবনা কেন এ ধরনের একটি পোস্ট নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন, তার পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/শান্ত