গাজীপুর সাফারি পার্কে বেঁচে থাকা একমাত্র জিরাফটিও টিউবারকুলোসিস (টিবি) রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জিরাফটি মারা গেলেও আজ শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

মারা যাওয়া স্ত্রী জিরাফটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল। এটির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জিরাফশূন্য হয়ে গেল গাজীপুর সাফারি পার্ক। এ নিয়ে গত এক যুগে সাফারি পার্কে ১২টি জিরাফের মৃত্যু হলো।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক রহমান আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে জিরাফটি অসুস্থ ছিল। বিষয়টি জানার পরপরই দ্রুত একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে জিরাফটির চিকিৎসা শুরু করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বোর্ড জানায়, জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত ছিল।

জিরাফের মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ গতকাল বিকেলে শ্রীপুর থানায় জিডি করেছেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সাফারি পার্কে আফ্রিকান একটি পূর্ণবয়স্ক অসুস্থ স্ত্রী জিরাফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ অক্টোবর বিকেল চারটার দিকে মারা যায়। পরে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জিরাফটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। তাঁরা প্রতিবেদনে জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে উল্লেখ করেছেন।

পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরে বিভিন্ন সময় জিরাফগুলো চারটি বাচ্চা দেয়। তবে সেগুলো বাঁচেনি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রোগাক্রান্ত হয়ে ৯টি জিরাফ মারা যায়। সর্বশেষ তিনটি স্ত্রী জিরাফ টিকে ছিল। এরপর ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে একটি, গত বছরে একটি এবং গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ জিরাফটিও মারা যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র ন ত হয়

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ