ভোলায় মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি জসিম রানার ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি মো. সবুজকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ভোলা সদর মডেল থানাধীন দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিক্যাল কলেজের সামনে সাংবাদিক জসিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তাঁর ডান হাতের তর্জনীতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। বর্তমানে তিনি ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২১ অক্টোবর আসামি সবুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার একটি সংবাদ করেন সাংবাদিক জসিম রানা। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সবুজসহ কয়েকজন তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এজাহারে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে জসিমের সঙ্গে আসামিদের দেখা হলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আসামি সবুজ তাঁর হাতে থাকা দা দিয়ে জসিমের মাথায় কোপ মারেন। তিনি হাত তুলে আঘাত ঠেকানোর চেষ্টা করলে ডান হাতের তর্জনী কেটে যায়। এ সময় অন্য আসামিরা তাঁকে কিলঘুষি মারেন এবং পকেটে থাকা ৫ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে স্থানীয় লোকজন জসিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাত মো.

হাসনাইন পারভেজ বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ