একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘মিথ্যা’ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে আজ শনিবার শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি। দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এই সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের তথ্য তুলে ধরেন, ১৯৭৫ সালে গণমাধ্যমের ওপর দমন–পীড়নের কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনার শাসনকাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির সাবেক নেতা ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ১ হাজার ৭০০ নেতা–কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আলেম–ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা, মাওলানা কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী—এই পত্রিকার (দৈনিক নয়া দিগন্ত) প্রকাশক ছিলেন, সালাউদ্দিন কাদেরসহ তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করে। সেই বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের মৃত্যুদণ্ড হয়। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ক স ম আল ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ