ইউটিউবের স্বয়ংক্রিয় অডিও সুবিধা নিয়ে অসন্তোষে ব্যবহারকারীরা
Published: 25th, October 2025 GMT
ইউটিউবে ভিডিও বা শর্টস দেখার সময় এখন স্থানীয় ভাষার ভিডিও ইংরেজিতে শোনা যায়। মাধ্যমটিতে সম্প্রতি চালু হওয়া স্বয়ংক্রিয় অডিও সুবিধার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে নতুন এই সুবিধা বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর কাছে সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা দিতে পারছে না।
বিশ্বজুড়ে ভিডিও দেখার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে দর্শকের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে ইউটিউব নিয়মিত নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর এই অডিও সুবিধাটি অনেকের জন্যই উল্টো অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে তৈরি এই অডিওতে মানুষের স্বাভাবিক কণ্ঠের আবেগ ও ভঙ্গি ফুটে ওঠে না। ফলে কথাগুলো রোবটের মতো শোনায়। বাংলা বা হিন্দির মতো ভাষায় শুট করা ভিডিওতে হঠাৎ চরিত্ররা ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করলে সেটি ঠোঁটের নড়াচড়ার সঙ্গে মেলেও না। এতে ভিডিওর স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয় এবং দর্শক কনটেন্টের স্বর ও আবহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই অডিও নিয়ে ব্যবহারকারীদের নানা অভিযোগ ও বিরক্তি দেখা গেছে।
অবশ্য ব্যবহারকারীরা চাইলে স্বয়ংক্রিয় অডিও সুবিধা বন্ধ করে ভিডিওর মূল ভাষায় ফিরে যেতে পারেন। এ জন্য ইউটিউব অ্যাপে একটি ভিডিও চালুর পর ডান পাশে থাকা তিনটি ডট আইকনে প্রেস করতে হবে। সেখান থেকে অডিও ট্র্যাক নির্বাচন করে ভিডিওর মূল ভাষাটি বেছে নিতে হবে। স্বয়ংক্রিয় ক্যাপশন বা সাবটাইটেল সুবিধাও অনেক সময় ভুল শব্দ ও সময়ের অসামঞ্জস্য তৈরি করে। চাইলে সেটিংস থেকে সেটিও বন্ধ করা সম্ভব।
সম্প্রতি ইউটিউবের ওয়েব ও মোবাইল প্লেয়ারে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নকশা আরও পরিচ্ছন্ন, দৃষ্টিনন্দন ও ব্যবহারবান্ধব হয়েছে। শর্টস দেখা, গান শোনা ও ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্বচ্ছন্দ করতে এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
সূত্র: নিউজ ১৮ ডটকম
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প