গত ২৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ের বাসভবনে মারা গেছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার মৃত্যুর পর পারিবারিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনী আবেগঘন একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তারই এক লিখিত দলিল যেন এটা।   

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে হেমা মালিনী লেখেন, “ধর্মজি, আমার কাছে অনেক কিছু ছিলেন। স্নেহময় স্বামী, আমাদের দুই মেয়ে এশা ও অহনার আদুরে বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি—প্রয়োজনে সবসময় যার কাছে ছুটে যেতাম—আসলে তিনি আমার সবকিছুই ছিলেন! সুখ–দুঃখের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকেছেন। সহজ-সরল, বন্ধুসুলভ স্বভাব, স্নেহ ও আন্তরিকতার জন্য পরিবারের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ে স্থগিত: স্মৃতির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ, মুখ খুললেন গায়কের মা

বিয়েবাড়িতে তারকাদের নাচ: পুরোনো ভিডিও ভাইরাল, কথা রাখেননি রণবীর

ধর্মেন্দ্র চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে হেমা মালিনী লেখেন, “জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে, তার প্রতিভা, জনপ্রিয়তা থাকার পরও তার বিনয়, সবার হৃদয়ে ছড়িয়ে থাকা সার্বজনীন আবেদন—এসবই তাকে সকল কিংবদন্তির মাঝে অনন্য এক আইকনে পরিণত করেছে। চলচ্চিত্রজগতে তার চিরস্থায়ী খ্যাতি ও কৃতিত্ব চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” 

ব্যক্তিগত ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে হেমা মালিনী লেখেন, “আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা আমার বাকি জীবনে থেকে যাবে। বহু বছর একসঙ্গে পথচলার পর, বিশেষ মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে করতে, অসংখ্য স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।” 

বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর রূপ আর অভিনয়ের প্রেমে কে পড়েননি! ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। এ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপর হেমার প্রেমে উন্মাদ হয়ে উঠেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র। সব দ্বিধা উড়িয়ে সময়ের সঙ্গে দুজনেই মনের বিনিময় করেন। 

১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র; বিয়ের মোহরানা ধার্য করেন ১ লাখ ১১ হাজার রুপি। ১৯৮০ সালের ২ মে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণা দেন এই প্রেমিক যুগল। এ সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা—এশা দেওল ও অহনা দেওল। তারপর সময় অনেক গড়ায়, শেষ পর্যন্ত অটুট ছিল ধর্মেন্দ্র-হেমার ভালোবাসা! এ জুটির প্রেমজীবন সিনেমাকেও হার মানায়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে নতুন তত্ত্ব কতটা বিশ্বাসযোগ্য

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চের বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে চাঞ্চল্যকর নতুন তত্ত্ব প্রস্তাব করেছেন। তাঁদের মতে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে থেইয়া নামের মঙ্গল গ্রহ আকৃতির একটি গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের পর চাঁদের জন্ম হয়েছে। সেই সংঘর্ষে থেইয়া সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে কেবল পৃথিবীর ভূত্বক ও চাঁদের মধ্যে খনিজের চিহ্ন হিসেবেই থেইয়ার প্রমাণ দেখা যায়।

পৃথিবী ও চাঁদের খনিজের অনুপাত সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে থেইয়ার রহস্যময় উৎস উন্মোচনের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী টিমো হপ জানান, গ্রহ গঠনের জন্য সংঘর্ষ হওয়া শত শত গ্রহাণুর ভ্রূণগুলোর মধ্যে থেইয়া সম্ভবত অন্যতম ছিল। থেইয়া একসময় অভ্যন্তরীণ সৌরজগতের মধ্যে একটি স্থিতিশীল কক্ষপথে ছিল। সৌরজগতের বিকাশের প্রথম ১০ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর একটি লুকানো প্রতিবেশী ছিল, যা এখন সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে। যখন থেইয়ার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়, তখন সেই আঘাতে টিকে থাকা সব উপাদান হয় পৃথিবীর মধ্যে মিশে গেছে বা চাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরজগৎ যখন গঠিত হয়, তখন বিভিন্ন উপাদানের আইসোটোপ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। তখন থেইয়া গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করেছিল। সংঘর্ষের সময় থেইয়া ও আদি-পৃথিবী একসঙ্গে মিশে গিয়ে আমাদের গ্রহ ও চাঁদের জন্ম হয়। এই তথ্য সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা পৃথিবী থেকে পাওয়া শিলা ও অ্যাপোলো মিশনের মাধ্যমে চাঁদ থেকে আনা শিলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রহাণু থেকে লোহার আইসোটোপ পরিমাপ করেছেন। দেখা গেছে, চাঁদ ও পৃথিবীর লোহার আইসোটোপের অনুপাত একই রকম আছে। থেইয়া ও আদি-পৃথিবী এত ভালোভাবে একসঙ্গে মিশে গিয়েছিল, তাদের আর আলাদা করা সম্ভব না। তবে থেইয়ার ঠিক কতটা অংশ চাঁদে ও কতটা অংশ পৃথিবীতে মিশেছিল, তা বের করা অসম্ভব। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী হপ বলেন, আইসোটোপিক গঠনের এই সাদৃশ্য থেইয়ার প্রাথমিক গঠন সরাসরি পরিমাপ করাও অসম্ভব করে তুলছে।

যদি থেইয়া সৌরজগতের শীতল বাইরের প্রান্তে গঠিত উল্কাপিণ্ডের মতো হতো, তবে আদি-পৃথিবী সম্পূর্ণ ভিন্ন আইসোটোপের মিশ্রণ ধারণ করত। থেইয়া ও আদি-পৃথিবী উভয়ই সম্ভবত সৌরজগতের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল থেকে আসা শিলাময় অ-কার্বনেশিয়াস উল্কাপিণ্ড দিয়ে তৈরি হতে পারে। ধারণা করা হয়, থেইয়া প্রায় ১০ কোটি বছর ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছিল। এরপরে বৃহস্পতির মহাকর্ষীয় আকর্ষণ কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করে পৃথিবীর দিকে ঠেলে দেয়। এটি সূর্যের চারপাশে একটি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল কক্ষপথে ছিল।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীরে সংখ্যা লেখে কেন ছবি পোস্ট করছেন অভিনেত্রীরা?
  • একসঙ্গে হাজির দুই জলি, এরপর...
  • বরিশালে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ নবজাতক
  • হঠাৎ শুভ-ঐশীর একসঙ্গে রোমান্টিক ছবি পোস্ট
  • মহাকাশে কি প্রাণী আছে, প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৈরি হচ্ছে বিশাল টেলিস্কোপ
  • চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে নতুন তত্ত্ব কতটা বিশ্বাসযোগ্য