মুন্সীগঞ্জে কোস্ট গার্ড ও সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে প্রায় ৬২৬ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টা থেকে শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পাগলা স্টেশন ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সংলগ্ন ডিঙ্গাভাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

অভিযান চলাকালে ছয়টি গোডাউন ও ছয়টি জাল তৈরির কারখানা তল্লাশি করে প্রায় ১৭ কোটি ৯০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসব জালের বাজার মূল্য প্রায় ৬২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বলে জানায় কোস্ট গার্ড।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পাগলা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিবুল ইসলাম রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মৎস্যসম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ ও অবৈধ জাল নিধনে কোস্ট গার্ডের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত জালের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।”

অভিযানে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসেম, মুক্তারপুর নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

আতিউরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রকাশ্যে নদীর পাড়ে জব্দ করা জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ঢাকা/রতন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জব দ মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ