দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

কেপিএমে চার দিন বাদে ফের ‌‘ব্যালটের কাগজ’ ছাপা শুরু

পানির অভাবে চার দিন বন্ধ থাকার পর কর্ণফুলী পেপার মিলে আবার কাগজ উৎপাদন শুরু হয়েছে, সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নির্বাচনি ব্যালটের কাগজ ছাপাও।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে মিলে কাগজ উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে পলি জমে নাব্য সংকটের কারণে গত মঙ্গলবার থেকে চার দিন পেপার মিলের উৎপাদন বন্ধ ছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য পাম্পের স্থানে পলি পরিষ্কার করে পানির লেভেল বাড়ানো হয়েছে। এতে শনিবার দুপুর থেকে মিলে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

পেপার মিলে নিয়মিত কাগজ উৎপাদনের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট ছাপাতে নির্বাচন কমিশন থেকে ৯১৪ মেট্রিকটন কাগজ সরবরাহের অর্ডার ছিল বলে জানান শহীদ উল্লাহ্। 

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৫৩৭ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হলেও বাকি ৩৮৭ মেট্রিক টন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহের সময়সীমা রয়েছে। উৎপাদন ফের চালু হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে কোনো সমস্যা হবে না।

ঢাকা/শংকর/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ