লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সাদ্দাম নামে জেলের জালে ধরা পড়া আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মতিরহাট মাছঘাটে নিলামে ইলিশটি সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আমির ব্যাপারী।
আরো পড়ুন:
নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৩৯.৩৬ শতাংশ
নয় মাসে সিঙ্গারের বড় লোকসান
সূত্র জানায়, ভোলার জেলে সাদ্দাম ১৫ জন সঙ্গী নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান। গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সমুদ্রে জাল ফেলেন তিনি। এসময় তার জালে ইলিশটি ধরা পড়ে। মাছটি আড়তে আনা হলে ডাকে (নিলামে) সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন আমির ব্যাপারী।
আড়তদার বাবুল বলেন, “সাদ্দাম মাঝি আমার আড়তে অনেকগুলো মাছসহ বড় ইলিশটি নিয়ে আসেন। নিলামে মাছটির দাম ৯ হাজার ২০০ টাকা ওঠে। এত বেশি দামে ইলিশ বিক্রি আমাদের ঘাটে আজকে প্রথম। এতো বড় আকারের ইলিশ সচরাচর জালে ধরা পড়ে না।”
আমির ব্যাপারী বলেন, “২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৯ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছি। ঢাকার মোকামে বড় ইলিশের প্রচুর চাহিদা। সেখানে পাঠানো হবে মাছটি। আশা করছি, অন্তত ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লটারির পুরস্কার যখন পিকাসোর চিত্রকর্ম
পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বিশ্বজোড়া কদর। দামও আকাশছোঁয়া। সে জন্যই হয়তো শিল্পপ্রেমীদের অনেকেই পিকাসোর চিত্রকর্ম নিজের সংগ্রহে রাখার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। তাঁদের জন্য বড় সুযোগ হতে পারে ফ্রান্সের একটি দাতব্য সংস্থার লটারি। ১০০ ইউরোর লটারির টিকিট কিনে মিলতে পারে পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম।
এই লটারির টিকিট পাওয়া যাবে ‘ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকম’ নামের একটি ওয়েবসাইটে। এর উদ্দেশ্য মহৎ। মোট ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রির অর্থ যাবে আলঝেইমার রোগ নিয়ে গবেষণায়। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির প্যারিস কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
পিকাসোর ওই চিত্রকর্মে ‘ডোরা মার’ নামের এক নারীকে আঁকা হয়েছে। তিনি পিকাসোর একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৪১ সালে আঁকা চিত্রকর্মটির শিরোনাম ‘তেত দ্য ফাম’। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে ‘নারীর মাথা’। কাগজের ওপর গোয়াশ রঙে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি। চিত্রকর্মটির বর্তমান বাজারদর ১০ লাখ ইউরো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়ান পিকাসো হানড্রেড ইউরো ডটকমে এমন লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৩ সালে। সেবার লেবাননের তায়ার শহর রক্ষায় ৪৮ লাখ ইউরোর তহবিল জোগাড় করা হয়েছিল। আর পরেরবার ২০২০ সালে আফ্রিকায় পানির উৎস ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য তোলা হয়েছিল ৫১ লাখ ইউরো। ওই দুবারও কিন্তু পুরস্কার ছিল পিকাসোর দুটি চিত্রকর্ম।