Risingbd:
2025-10-26@15:33:03 GMT

জবিতে ইউটিএলের কমিটি গঠন

Published: 26th, October 2025 GMT

জবিতে ইউটিএলের কমিটি গঠন

ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের (ইউটিএল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৫ সদস্যের এ কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু লায়েক আহ্বায়ক এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বান্দরবানে ১৩ প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার অনুমোদন

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আয়াকে প্রধান শিক্ষকের হুমকি, থানায় অভিযোগ

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো.

আতাউর রহমান বিশ্বাস এ নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

লিখিত বক্তব্যে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইন বলেন, “১৯৪৭-এর আজাদী, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ইউটিএল এক সুনির্দিষ্ট ভিশন নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংগঠনের লক্ষ্য একটি মর্যাদাসম্পন্ন, স্বাধীন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একাডেমিয়া গড়ে তোলা, যা শিক্ষা, গবেষণা ও নৈতিক দায়িত্ববোধের মানদণ্ড অনুসরণ করে।”

সদস্যপদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংগঠনটি পাঁচটি মূল নীতিতে কাজ করবে—একাডেমিক উৎকর্ষতা, আত্মমর্যাদা, জাতীয় প্রতিশ্রুতি, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সমষ্টিগত দায়িত্ব। বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যিনি ইউটিএলের মূলনীতি, ভিশন ও মিশনের সঙ্গে একমত, তিনি সদস্য হতে পারবেন।”

ধর্মীয় বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “ইউটিএল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদী শিক্ষকগণের সংগঠন। এটি মধ্যপন্থি, ডানপন্থি ও ইসলামপন্থিদের সংগঠন। ধর্মবিশ্বাসী যেকোনো ধর্মের মানুষ ইউটিএলের সদস্য হতে পারেন, তবে যারা নিজেদের সেক্যুলার বা ধর্মহীন পরিচয়ে পরিচিত করেন, তারা আমাদের সদস্য হতে পারেন না।”

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, “ইউটিএল সব সময় সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায়। ভোটের দিন আমরা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি এবং আসন্ন জবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করব, ইনশাআল্লাহ।”

নতুন কমিটিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ (ইসলামী স্টাডিজ) ও অধ্যাপক ড. তারেক মুহাম্মদ শামছুল আরেফীন (অর্থনীতি) যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। যুগ্ম-সদস্য সচিব হয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন।

দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সালামকে কোষাধ্যক্ষসহ কমিটিতে আরো নয়জন শিক্ষককে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউটিএলের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য হ স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, কাল বৈঠক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা) বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১২ অক্টোবর বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলার সব আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, তাঁর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

রেজাউল করিম আরও বলেন, ওই বৈঠকের পর বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসন বাদে অন্য পাঁচটি আসনে পাঁচজন নেতাকে ফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ধারাবাহিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওই পাঁচ নেতাসহ মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির ২৩ নেতাকে আগামীকাল গুলশান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। সেখানে মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নির্বাচন ঘিরে দলীয় কর্মপন্থা ও ধানের শীষকে বিজয়ী করতে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা আসতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৈঠকে তারেক রহমান স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ধানের শীষের মনোনয়ন যাঁকে দেওয়া হবে, তাঁকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন না পেলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থী করা ছাড়াও দলীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে দলে কোনো বিশৃঙ্খলা করা চলবে না।

জেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন পাঁচটি আসনে দলের পাঁচ নেতাকে টেলিফোন করে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামার নির্দেশ দেওয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা ভেতরে-ভেতরে হতাশ হন। তবে এ নিয়ে কেউ এখনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।

গত বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে উঠে আসে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শরিক দলের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রসঙ্গ। এবারের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শরিক দলকে আসন ছেড়ে দিলে আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকে অন্য দলের কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমকে এ আসনে মাঠে নামতে বলেছেন। আগামীকালের বৈঠকে এ বিষয়েও চূড়ান্ত নির্দেশনা আসতে পারে।

ঢাকায় ডাক পাওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী (সালাম), সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব (জাকির), সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শাহ মো. শাহজাহান আলী।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি মীর শাহে আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির জেলা সভাপতি আবদুল বাছেদ ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম (স্বাধীন)। বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) আসনে তারেক রহমানের ফোন পাওয়া আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার ও বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ফোন পাওয়া একমাত্র নেতা হিসেবে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে তারেক রহমানের টেলিফোন পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান (হারেজ), ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম (মামুন), কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান (খোকন) ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বৈঠকে ডাক পেয়েছেন।

বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা আছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এ দুটি আসন থেকে বৈঠকে ডাক পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম (বাদশা), জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এবং আলী আজগর তালুকদার (হেনা), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার (লালু) এবং গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের হাইকমান্ড থেকে টেলিফোন করে আগামীকাল চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকেল চারটায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দেশনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ