ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, মৃত্যু ৪ জনের
Published: 26th, October 2025 GMT
দেশে গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। বাকি একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও অপরজন রাজশাহী বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ সময় চলতি বছর সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩১৯ জন। এ সময় দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮২। ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল—১৮৬। সব মিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগ নিয়ে ৬৫ হাজার ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪৪৪ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। গত মাসে ডেঙ্গুতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। তবে চলতি অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতেই এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন র ম ত য হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সভাপতির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে টানা চারদিন ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রকম আশ্বাস না পাওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
শপথ নিলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা
রাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ। এ ঘোষণার পর অনশনে যোগ দেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন, ইকরা, সাদিক ও সুমন।
এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, চেয়ারম্যান তুই গদি ছাড়’, ‘বহিরাগত চেয়ারম্যান মানি না, মানবো না’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক, সিন্ডিকেট মুক্তি পাক’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ক্লিনিক্যালের বাংলায় সাইকোলজির ঠাঁই নাই’, ‘ডিপার্টমেন্টে রাজনীতি চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
শিক্ষার্থী রাইসুল বলেন, “আমাদের এক দফা দাবি ছিল, বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমাদের দাবি, বিভাগ থেকেই সভাপতি করতে হবে। আমরা আজ প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম কিন্তু তারা বহিরাগত চেয়ারম্যানকে বহাল রাখতে চায়। তাই আমরা আজ থেকে অনশনে বসছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।”
বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, “আমরা আজ প্রশাসনের সঙ্গে বসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো আশ্বাস দেয়নি। তারা আরো সময় চেয়েছেন। তারা আমাদের বলেছে, বর্তমান সভাপতি সঙ্গে নিগোশিয়েট করে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা তাকে চাই না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, এজন্য তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী