নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিচারপ্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে জুনিয়র কয়েকজন আইনজীবী। রোববার দুপুরে আদালতপাড়ায় ওই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হামলায় আহত রাজিয়া সুলতানা ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে সাখাওয়াত হোসেন খান, ইসমাইল, হিরণ, শাহআলম, টিটু, রাসেল বেপারী সহ ১২ জনকে অজ্ঞাত বিবাদী করা হয়েছে।

সুলতানা অভিযোগ করেন, জনৈক ইসমাইলের কাছে তার স্বামী ২৫ লক্ষ টাকা পায়। গত এক বছর যাবৎ তারা টাকা না দিয়ে টালবাহানা করছে। এ ঘটনায় তারা একটি মামলা দায়ের করেন আদালতে। আজ রোববার আদালতে মামলার শুনানি ছিল।

তিনি ও তার স্বামী ইরফান মিয়া আদালতের ভেতরে পৌছালে বিবাদীরা তাকে ও তার স্বামীর ওপর হামরা চালায়। এরোপাথারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মা-বাবাকে রক্ষায় ছেলে জিদান (১৭) ও আব্দুল্লা (৫) এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মাকে সঙ্গে নিয়ে পুরস্কার নিলেন রাফি

চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক আলিমুজ্জামান পেয়েছেন ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫’। রোববার দুপুরে রাজধানীর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর কিন্তু আবেগঘন অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার, রন্ধনবিদ ও ফজলুল হকের কন্যা কেকা ফেরদৌসী, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান, সাংবাদিক আবদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শিত হয় শহিদুল আলম পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র সম্মুখযাত্রী ফজলুল হক।

‘ফজলুল হক—বাংলাদেশের সিনে সাংবাদিকতার জনক’
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্রচর্চার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত প্রয়াত ফজলুল হক। তিনি দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে যখন দেশীয় সিনেমাশিল্প নবযাত্রা শুরু করছে, তখন ফজলুল হক চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা শুরু করে এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁকে তাই ‘সিনে সাংবাদিকতার জনক’ বলা হয়। তিনি দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর নির্মাণে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি নিজেও নির্মাণ করেছেন সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট) ও উত্তরণ, যা দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে পথিকৃৎ কাজ হিসেবে বিবেচিত। অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেন বক্তারা।

তাঁদের মতে,  বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির বিকাশে ফজলুল হকের অবদান অপরিসীম, অথচ তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদকে ভূষিত হননি, এ এক বড় বঞ্চনা। আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যাঁরা কোনো কিছুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, তাঁদের অনেক সময়ই মানুষ ভুলে যায়। কিন্তু ফজলুল হক ছিলেন আমাদের গুরু। তিনি চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন। আমরা ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির পক্ষ থেকে দাবি জানাই, তাঁকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক আলিমুজ্জামান পেয়েছেন ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫’

সম্পর্কিত নিবন্ধ