সমাবেশমঞ্চে নির্বাচনের খরচের জন্য কর্মীর দেওয়া ১০ লাখ টাকার সেই চেক ফেরত দিয়েছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। আজ রোববার বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার একতা বাজারে এক সভায় বিএনপির কর্মী নূর কাসেমের হাতে চেকটি তিনি তুলে দেন।

এ সময় নূর কাসেমকে উদ্দেশ করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি তোমার ভালোবাসাটা নিলাম। তোমার চেকটি তুমি নিয়ে নাও।’

আরও পড়ুনবিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া কর্মীর অ্যাকাউন্টে আছে ৩৪১২ টাকা৪ ঘণ্টা আগে

গতকাল শনিবার জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে এক সমাবেশে চেকটি কামরুজ্জামানকে দেন নূর কাসেম। তবে আজ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নূর কাসেমের অ্যাকাউন্টে এত টাকা নেই, আছে মাত্র ৩ হাজার ৪১২ টাকা। তিনি ‘আবেগে’ চেকে ১০ লাখ টাকা লিখে সেটি কামরুজ্জামানের হাতে তুলে দেন। চেক ফেরত নেওয়ার সময়ও তিনি একই কথা বলেন।

কামরুজ্জামান সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তাঁর বাড়ি তাহিরপুর উপজেলায়।

নূর কাসেম নামের বিএনপির ওই কর্মীর বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওরপারের মান্দিয়াতা গ্রামে। মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মূলত পেশায় কৃষক। তবে ইট কেনাবেচার ছোটখাটো ব্যবসা আছে তাঁর। লেখাপড়া জানা নেই। তবে স্বাক্ষর করতে পারেন। তিনি বিএনপিতে তেমন সক্রিয় না হলেও তাঁর বাবা প্রয়াত মো.

সামসুদ্দিন বিএনপি করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

চেক দেওয়ার বিষয়ে নূর কাসেম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি উনারে (কামরুল) ভালা পাই। উনি গরিবের লাগি ভালা। তাই মনের আবেগে দিছি। আমার অত টেকা নাই। এখন যদি মাইসে কয়, এই টেকা দিত অইব, শ্রীপুর বাজারে আমার একটা ভিটা আছে, ইটা বিক্রি কইরা দিমু।’

তাহিরপুর থেকে জামালগঞ্জে গিয়ে কেন চেক দিলেন, জানতে চাইলে নূর কাসেম বলেন, তিনি সমাবেশ দেখতে গিয়েছিলেন। মানুষ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তিনি একটি মালা ও চেক তুলে দেন কামরুজ্জামানের হাতে। এখন বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন জানিয়ে নূর কাসেম বলেন, ‘আমি খারাপ মানুষ না। কাম করি খাই। আমার কোনো ধান্দা নাই। মন থাকি উনারে (কামরুল) ভালা পাই। এর লাগি দিছি।’

কামরুজ্জামান জানান, সমাবেশে হাজার হাজার লোক ছিলেন। কেউ ফুল, কেউ কাগজ, কেউ টাকার মালা দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তেমনি নূর কাসেম হঠাৎ মঞ্চে এসে তাঁকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছেন। তবে এটিকে দলের প্রতি, তাঁর প্রতি কাসেমের ভালোবাসা হিসেবে দেখছেন তিনি। গতকাল বিকেলে বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কামরুজ্জামান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে কামরুজ্জামান ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মোতালেব খান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ব ক ১০ ল খ ট ক র প র উপজ ল স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী

বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওই নির্বাচনী এলাকায় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা। একপর্যায়ে কর্মীরা তাঁকে টাকার ফুল ও মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন এক কর্মী ওই নেতাকে নির্বাচনের খরচের জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
৩১ দফার প্রচারণার ঘোষণা থাকলেও এটি ছিল মূলত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলের নির্বাচনী সমাবেশ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর পর একপর্যায়ে কামরুজ্জামানকে ফুল, টাকার মালা গলায় পরিয়ে দেন কিছু নেতা-কর্মী। তখন মঞ্চে উঠে নূর কাশেম নামের একজন কর্মী কামরুজ্জামানের হাতে একটি চেক তুলে দেন। কামরুল সেটি হাতে নিয়ে দেখেন ১০ লাখ টাকার চেক। পরে তিনি চেকটি সমাবেশে উপস্থিত দলের নেতা-কর্মীদের দেখান।

কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের ওই কর্মীর সঙ্গে আমার আগে পরিচয় হয়নি। তিনি চেকটি আমার হাতে দিয়ে কাল (রোববার) ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। মানুষের ভালোবাসায় আমি অভিভূত।’ মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি ধানের শীষের কথা বলছি। ধানের শীষে ভোট চাইছি। জনগণ পাশে থাকলে আমি এখানে মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস করি।’

জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম মাহমুদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে কামরুজ্জামান ছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহীনুর রহমান, জুলফিকার চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী (তৌফিক) ও সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাব আলী, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হক প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) কামরুজ্জামান ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও তাহিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবদুল মোতালেব খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, কাল বৈঠক
  • বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দেওয়া কর্মীর অ্যাকাউন্টে আছে ৩৪১২ টাকা
  • খুলনার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় ডেকেছে বিএনপি, ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠক করবেন তারেক রহমান
  • সমাবেশ মঞ্চে কর্মীর দেওয়া ১০ লাখ টাকার সেই চেক ফেরত দেবেন বিএনপি নেতা
  • বোয়ালমারীতে বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে এক পক্ষের আনন্দ মিছিল, অন্য পক্ষের বিক্ষোভ
  • সমাবেশ মঞ্চে বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেন এক কর্মী
  • নির্বাচনী প্রস্তুতিতেই এখন পূর্ণ মনোনিবেশ বিএনপির