সবকিছুতেই স্বচ্ছন্দ্য

ফ্যাশন, স্টাইল, রুচিশীল জীবনযাপনের জন্য সালমান শাহ ছিলেন তাঁর সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা একজন। বিভিন্ন ধরনের পোশাকে ছিলেন সাবলীল। নিউট্রাল-শেডের পোশাক ও জিনসেই তাঁকে বেশি দেখা গেছে।

ওভারসাইজড ও ফিটেড—সব ধরনের শার্টেই ছিলেন স্বচ্ছন্দ্য। তাঁর ব্যাকব্রাশ হেয়ারস্টাইলও ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যান্ডানা, নেপালি টুপি ও মধ্যপ্রাচ্যের রুমাল তাঁর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়।

১ / ৪নিজেই নিজের স্টাইলিস্ট

এখনকার সময়ে একজন তারকার স্টাইলের পেছনে থাকে বেশ কয়েকজনের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। ফলে সেখানে ব্যক্তিগত স্টাইলের প্রতিফলন ঘটার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম। আবার একই দল একাধিক তারকার ফ্যাশন, স্টাইল ও মেকআপের বিষয়টি দেখভাল করে বলে প্রায় সবার স্টাইল অনেকটা একই রকম লাগে। তবে শুরু থেকেই সালমান শাহ ছিলেন ব্যতিক্রম।

সালমান শাহর সঙ্গে কাজ করা একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সিনেমায় পোশাক নির্বাচনের ব্যাপারটা সালমান শাহর ওপর ছেড়ে দিতেন তাঁরা। ফরমাল পরবেন নাকি ক্যাজুয়াল, সিদ্ধান্ত নিতেন সালমানই। এমনও হয়েছে, পরদিন শুটিং, আগের দিন সারা বিকেল-সন্ধ্যা সালমানের কেটেছে নিউমার্কেটের দোতলায়।

১ / ৩

নিজে কাপড় কিনে, টেইলরের পাশে বসে নিজেই দেখিয়ে দিয়েছেন ডিজাইন। এ দোকান ও দোকান ঘুরে নিজেই জামা কিনেছেন। জামাকাপড়ের সঙ্গে কিনেছেন মানানসই অনুষঙ্গ। কোন দৃশ্যে কী পরবেন, সে সবই গুছিয়ে ঠিক করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরেছেন। যেকোনো প্রয়োজনে আউটডোরে গেলে কিংবা শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে গেলে ফিরে আসার সময় তাঁর সঙ্গে থাকত নানা ধরনের পোশাকআশাক ভর্তি ৬–৭টি লাগেজ।

জুতার সংগ্রহ ছিল বিশাল১ / ৩

সালমানের বাসায় শত শত জোড়া জুতা, লোফার, কনভার্স, হাই বুট ও স্নিকার্স ছিল। দেশের বাইরে গেলে অবশ্যই কয়েক জোড়া জুতা নিয়ে আসতেন। জুতা পরিবর্তন করতেন সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যে। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে সালমান সিনেমায় তিন শতাধিক জোড়া জুতা ব্যবহার করেছিলেন!

যেদিন সালমান মারা গেলেন

পুরুষেরা সাধারণত বাঁ হাতে ঘড়ি পরেন। তবে সালমান সব সময় ডান হাতে ঘড়ি পরতেন। বিভিন্ন লাক্সারি ব্র্যান্ডের ঘড়ি ছিল তাঁর সংগ্রহে। সালমান শাহ যেদিন মারা যান, সেদিনও তাঁর হাতে ছিল দেড় লাখ টাকা দামের রাডো ব্র্যান্ডের ঘড়ি।
অলংকারও পরতেন দেদার

১ / ৩

ফরমাল ও ক্যাজুয়াল—উভয় ধরনের পোশাকের সঙ্গে সালমান বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট ব্যবহার করতেন। গলায় থাকত সোনার চেইন। সেই চেইনে মাঝেমধ্যে পেনডেন্টও ঝুলত। কানে থাকত এক পাথরের মেন স্টাড। হাতের আঙুলে সোনার আংটির সঙ্গে পাথরের আংটিও পরতেন।

চশমা, সানগ্লাস, ক্যাপ

সালমানের ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল সানগ্লাস ও চশমা। তাঁর চেহারা ছিল ওভাল শেপড বা ডিম্বাকার। সে কারণে যেকোনো ফ্রেমের চশমা বা রোদচশমায় তাঁকে দিব্যি মানিয়ে যেত। সিনেমায় তাঁকে গোলাকার, এভিয়েটর, ক্লাব মাস্টার ও ওয়েফ্যারার রোদচশমা পরতে দেখা গেছে। গোলাকার ফ্রেমের চশমাও ব্যবহার করতেন। চশমার পাশাপাশি কনটাক্ট লেন্সও ব্যবহার করতেন সালমান।

১ / ৬

সালমান শাহর ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমার নির্মাতা বাদল খন্দকার একবার বলেছিলেন, ‘তখন রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ত অসংখ্য তরুণের সালমান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা। তরুণীদের কাছে তিনি ছিলেন স্বপ্নের নায়ক। এখনো সালমান সবার হৃদয়ে আছেন। নতুন যাঁরা নায়ক হতে চান, তাঁরা আদতে সালমান শাহই হতে চান।’

আরও পড়ুনমিচেল স্টার্ক ও অ্যালিসা হিলি—ক্রিকেটের এই পাওয়ার কাপলের ১৩টি ছবি ও ভালোবাসার গল্প৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর করত ন ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’

ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দু’জায়গাতেই অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।  

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাবনার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো অংশ প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল রাতে ভাবনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে নারীর সঙ্গে পুরুষের বিশ্বাসঘাতকতার একটি চিত্রায়ণ করেছেন এই অভিনেত্রী। 

আরো পড়ুন:

‘খুকুমণির’ বিয়ে

রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!

এ বিষয়ে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “একজন প্রতারক পুরুষ তার বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে। কিন্তু যে নারীকে সে আঘাত করেছে, তাকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তা প্রকাশ করেন। প্রতিটি মিথ্যা, যা সে পেছনে বলেছে, নীরবে ভাঙা প্রতিটি প্রতিশ্রুতি, কান্নার প্রতিটি মুহূর্ত, অথচ পুরুষটি ভান করেছে সব ঠিক আছে। তবে আল্লাহ সব দেখেন, যা সে দেখতে পায় না।” 

কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। এমন তথ্য স্মরণ করে ভাবনা বলেন, “একজন পুরুষ ভাবেন, তার কর্ম ঢাকতে সে যথেষ্ট চতুর। কিন্তু কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। তাকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ সত্য প্রকাশ করেন না। বরং সেই নারীকে জীবনভর কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি করেন।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা হয়তো গোপনে করা হয়। কিন্তু তার প্রকাশ হলো ঐশ্বরিক সুরক্ষা। আল্লাহ যখন পর্দা সরিয়ে দেন, তা শাস্তি নয় বরং এটা উদ্ধার। আমি এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ।” 

তবে ভাবনা কেন এ ধরনের একটি পোস্ট নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন, তার পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যানসার, ৩৬ অস্ত্রোপচার—গানে ফেরার গল্প শোনাবেন ‘বেজবাবা’
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ১১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ কারবারি গ্রেপ্তার
  • পাবনায় বিষাক্ত মদপানে ২ যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
  • রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার
  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণাহীনতা: উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা
  • বেগম রোকেয়াকে নিয়ে রাবি শিক্ষকের মন্তব্য একাডেমিক নৈতিকতার লঙ্ঘন: আসক
  • কালো পতাকার মানুষ
  • ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এআই দিয়ে বানানো ছবি ছড়ানো হচ্ছে: কৃষ্ণ নন্দী
  • কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখাতে হামলা, নির্দেশদাতা এখনো পলাতক
  • ‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’