জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতন ঘটলেও দেশে এখনো প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরে আসেনি। দেশের মানুষ আর একদলীয় শাসন দেখতে চায় না।’’ 

আরো পড়ুন:

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা মুফতি রেজাউল করীমের

মসজিদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের দাবি ইমামদের

তারা বলেন, ‘‘আগামীর বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই আগামী নভেম্বরের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে।’’ 

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমেদ, জেলা সেক্রেটারি তারিক উদ্দিন, জেলা সহ-সভাপতি মুফতি আরিফুল ইসলাম, মহানগর সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন মনি, ইসলামিক শ্রমিক আন্দোলন জেলা শফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা সভাপতি আবুল বাশার প্রমুখ।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সোলার ফেজ-২–এর উদ্বোধন: সৌরশক্তিনির্ভর সেচে খরচ ৩০ শতাংশ কমে

বাংলাদেশের সেচব্যবস্থা মূলত আমদানি করা ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল। সৌর সেচপাম্প শুধু ডিজেল ব্যবহার কমায় না; বরং কৃষকদের সেচ খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সৌর সেচপাম্প স্থাপন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর অঙ্গীকার আছে সরকারের।

সৌরশক্তিনির্ভর কৃষি সেচের প্রকল্প সোলার (সোলার এনার্জি ফর অ্যাগ্রিকালচারাল রেজিলিয়েন্স) ফেজ-২–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ সোমবার এ অনুষ্ঠান হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় সফলভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে প্রথম পর্যায়ে। এ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হচ্ছে। এটি এখন পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া ও কেনিয়াতেও সম্প্রসারিত হচ্ছে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার ভিত্তিতে টেকসই সৌর কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট (আইডব্লিউএমআই) এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো–অপারেশন (এসডিসি) যৌথভাবে আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বারিন্দ বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ ছাড়া উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সোলার প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশে আইডব্লিউএমআই ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সঙ্গে যৌথভাবে করা গবেষণায় দেখা গেছে, সৌর সেচপাম্প শুধু ডিজেল ব্যবহার কমায় না; বরং কৃষকদের সেচ খরচ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমায়। সময়সাশ্রয়ী ও শ্রমসাশ্রয়ী সেবা প্রদান করে এবং দেরিতে বর্ষা শুরু হলে অতিরিক্ত সেচের সুযোগ সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনামূলক গবেষণায় আইডব্লিউএমআই দেখিয়েছে যে সাধারণ ধারণার বিপরীতে সৌর সেচ সব সময় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ঘটায় না। বাংলাদেশে অপারেটর পরিচালিত সৌর পাম্প টেকসই পানি ব্যবহার নিশ্চিত করেছে।

কৃষিখেতে সৌরশক্তি ব্যবহারে এগিয়ে এসেছেন নারীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ