বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) কার্যালয়ে ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’ লেখা ব্যানার সাঁটিয়ে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ২৭ বছরে ধরে অকার্যকর থাকা এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো অগ্রগতি না দেখে তারা বাকসু ভবনে ওই ব্যানার সাঁটিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

টিউশনিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার জবি ছাত্রী, অভিযুক্ত পলাতক

রাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু.

বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী রূপায়ন ভূঁইয়া বলেন, “আমিসহ আমার বন্ধুরা মিলে ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’ ব্যানারটি লাগিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা করতে পারা আমাদের প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। সে জায়গা থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে আমরা দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বঞ্চিত। আমরা চাই, ছাত্র সংসদ তথা বাকসুর মাধ্যমে আমাদের অধিকার ফিরে আসুক। যারা ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে এবং স্বপ্ন দেখাবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে।” 

তিনি আরো বলেন, “সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে বাকসু নির্বাচন হয়েছে, তারপর থেকে আজ দীর্ঘ ২৭ বছর অচল অবস্থা। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলীয় সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তাদের প্রশাসন সারাদেশের ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়নি। কারণ তারা ছাত্রদের অ্যাক্টিভিটিসকে ভয় পায়।  এখনো বাকৃবিতে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে, যেন বাকসু না হয়। কারণ তারা এতে মনে করে, তাদের দলীয় আধিপত্য কমে যাবে। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে বাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করতে হবে।”

স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে বাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২৭ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

যে দুই গোল বদলে দিয়েছিল জিনেদিন জিদানের জীবন

বল পায়ে জিনেদিন জিদানকে মনে পড়লেই অনেকের চোখে ভেসে ওঠে ব্যালে নৃত্যের ছবি। এত সুন্দর নিয়ন্ত্রণ, এত মোহময় ড্রিবলিং—মায়াপুরীর বিভ্রম ছড়ানো এমন দৃশ্য ফুটবলে খুব কমই দেখা গেছে। ফরাসি এই জাদুকর শুধু ফ্রান্সের সর্বকালের সেরা নন, সর্বকালের সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও তাঁর নাম অনিবার্য।
১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী, ২০০৬ বিশ্বকাপের রানার্সআপ, আর অবশ্যই সেই ফাইনালে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখা—ক্লাব ফুটবলের সাফল্য বাদ দিলেও এ ঘটনাগুলোই জিদানকে ফুটবল ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। তাঁর জীবনী নিয়ে প্যাট্রিক ফোর্ট ও জ্যাঁ ফিলিপ লিখেছেন জিদান নামের বই। বইটির একটি অধ্যায়—টু গোলস দ্যাট চেঞ্জড আ লাইফ—১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের জোড়া গোল আর তারপর জীবনটা যেভাবে পাল্টে গেল, সেই গল্প।কী লেখা হয়েছে ‘টু গোলস দ্যাট চেঞ্জড আ লাইফ’ অধ্যায়ে

ফ্রান্স-ব্রাজিল। স্বপ্নের ম্যাচ।

তবে সেটা ফ্রান্স বনাম ব্রাজিল, ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স নয়।

পার্থক্য? অনেক।

ফ্রান্স খেলবে নিজেদের মাঠে। গোটা ফ্রান্স! দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। কারণটা ফাইনাল, কারণটা প্রতিপক্ষও। ছুটির দিনগুলোর জন্য অনেক ফরাসির গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শুরু হয়েছিল একটু আগেভাগেই। প্রাত্যহিক কাজের বাইরে মনটাকে একটু ঘুরিয়ে আনতে বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! বিশুদ্ধবাদীরা ’৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে ফ্রান্স-ব্রাজিল ম্যাচের মতো আরেকটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায়। সেবার কিংবদন্তি কোচ টেলে সান্তানার ব্রাজিল বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে।

ব্রাজিল। ব্রাসিল!

একটি স্বপ্ন।

একটি ছবি। আর একটি গান; ‘অ্যাকুয়ারেলা দো ব্রাসিল’। অন্য খেলোয়াড়, পরিচালক ও কোচদের মতোই জিজুও সুরটি মাথায় নিয়ে বাসে পেছনের দিকে বসলেন। ক্লেয়ারফঁতে থেকে স্তাদে দে ফ্রান্সে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই প্রান্তেই উল্লসিত জনতা।

১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিনেদিন জিদানের প্রথম গোল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে দুই গোল বদলে দিয়েছিল জিনেদিন জিদানের জীবন