জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে। আমরা মার্কা হিসেবে শাপলা প্রতীকই চাই। শাপলা মার্কা নিয়েই আগামী নির্বাচনে এনসিপি অংশগ্রহণ করবে।’

আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম এ কথা বলেন।

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই মন্তব্য করে দলটির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘যেহেতু আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে শাপলা আদায় করে নেব। যখন এনসিপির প্রাপ্য তা দেওয়া হবে না, তাহলে অবশ্যই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এনসিপির যদি প্রয়োজন হয়, রাজনৈতিকভাবে রাজপথে লড়াই করবে। যদি প্রয়োজন হয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় এনসিপির অভ্যুত্থানের নেতারা রাজপথে নেমে এই অধিকারের জন্য লড়াই করবে।’

অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া–পাওয়া শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক হতে পারে না বলে মন্তব্য সারজিস আলমের। তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের জন্য নির্বাচন হোক। ফেব্রুয়ারিতে হলেও সমস্যা নেই। আমরা কোনো স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দেব না। দেব না বলেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। কারণ, জুলাই সনদে এখন পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে না।’

এনসিপি টাঙ্গাইল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান ওরফে রাসেলের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প র

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতায় মহাতারকা মেসির আগমন, ভাঙল উচ্ছ্বাসের বাঁধ

কলকাতার মাটিতে পা পড়েছে ফুটবল জাদুকর বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টােইন ফুটবলার লিওনেল মেসির। তার আগমন ঘিরে কলকাতায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। 

ভারতীয় সময় শুক্রবার দিবাগত (১৩ ডিসেম্বর) রাত ২টা ২৬ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিশেষ বিমান থেকে অবতরণ করেন লিওনেল মেসি। 

আরো পড়ুন:

আবারো ইতিহাস গড়লেন মেসি, দ্বিতীয়বার এমভিপি

মেসি জানালেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হবে ভারত’

নজিরবিহীন নিরাপত্তাবেষ্টনীতে কলকাতা বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেট দিয়ে রাত ৩টা ২২ মিনিটে বেরিয়ে আসেন মেসি। ওই রাতে বিমানবন্দরের সামনে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক মেসির নামে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘মেসি মেসি’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ভোরের কলকাতা।

রাতের শেষভাগে মেসি যখন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান, সেই দৃশ্য ‘মহানায়ক’ বরণের মতো যথা উপযুক্ত দৃশ্যের অবতারণা করে। রাতের গভীরতা ম্লান করে প্রাণের জাগরণ শোনা যায় কলকাতার পথে পথে।

মেসিকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই বহু সমর্থক কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে জড়ো হন। ভারত ও আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন তারা। 

শুধু মেসি নন, এদিন রাতে কলকাতায় এসেছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। অবশ্য তিনি তার ব্যক্তিগত বিমানে কলকাতায় এসেছেন।

১৪ বছর আগে ভারতে এসেছিলেন ফুটবলের এই জাদুকর। ২০১১ সালের ২ সেপ্টেম্বর কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন মেসি।

ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ