ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন এক্সচেঞ্জসের (ডব্লিউএফই) বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পিএলসি এবং চায়না ফিনান্সিয়াল ফিউচারস এক্সচেঞ্জ কো. লিমিটেডের (সিএফএফইএক্স) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের রিক্সোস টারসেন হোটেলের হাসকয় হলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এ সমঝোতা স্মারকে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএফএফইএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াওগেং  ঝ্যং স্বাক্ষর করেন। এ সময় সিএফএফইএক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেন সুয়াং এবং ফেং ইউ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএসইসি’র স্বায়ত্তশাসন দরকার: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

বিএমআরই ও কোম্পানি অধিগ্রহণ করবে স্কয়ার টেক্সটাইলস

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত দ্বিপাক্ষিক অংশিদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই ডেরিভেটিভস বাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, তথ্যের আদান-প্রদান করা, প্রশিক্ষণ এবং নলেজ শেয়ারিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, ব্যবসায়িক উন্নয়নে সক্রিয় সহায়তা প্রদান করা ও বিশেষ করে বাংলাদেশের ডেরিভেটিভস পণ্যের প্রচার করা।

সিএসই আশা করছে, এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সিএসই এবং সিফেক্স বাংলাদেশে সুসংগঠিত ডেরিভেটিভ বাজার স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চায়না ফিনান্সিয়াল ফিউচারস এক্সচেঞ্জস কো.

লিমিটেড (সিএফএফইএক্স):

২০০৬ সালে চায়না সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশনের (সিএসআরসি) অনুমোদনে প্রতিষ্ঠিত চায়না ফিনান্সিয়াল ফিউচারস এক্সচেঞ্জস কো. লিমিটেড হলো ফাইন্যান্সিয়াল ফিউচারস, অপশন্‌স এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভসের ট্রেডিং এবং ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বিশেষ প্লাটফর্ম। পাঁচটি প্রধান চীনা এক্সচেঞ্জের সহযোগিতার মাধ্যমে গঠিত চায়না ফাইন্যান্সিয়াল ফিউচারস এক্সচেঞ্জস কো. লিমিটেড আর্থিক বাজার সংস্কারকে এগিয়ে নিতে এবং চীনের বহুস্তরীয়  মূলধন বাজার শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সিএফএফইএক্স তার কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ ঝুঁকি স্থানান্তর, বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সামস্টিক অর্থনীতিকে সমুন্নত করার বৃহত্তর লক্ষ্যে অবদান রাখছে। নিরাপদ এবং দক্ষ ডেরিভেটিভ পণ্য বাজারে আনার মাধ্যমে সিএফএফইএক্স আর্থিক উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার কাজ করে যাচ্ছে। 

আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের  (ডব্লিউএফই, আইওএসসিও, এফআইএ, আইএসডিএ) সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থেকে এবং বিশ্বব্যাপী এক্সচেঞ্জগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের বাজার থেকে প্রোডাক্টগুলো চীনা ফিউচার মার্কেটে উন্মুক্ত করে সিএফএফইএক্স চীনের আর্থিক ভবিষ্যৎ বাজারকে সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছে।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স এসই সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। পরে তা পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৬২টি কোম্পানির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৬টির।

এ দিন ডিএসইতে মোট ৪৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২.০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৫.৪৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টির।

সিএসইতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিএসইর এজিএমে ৩.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে জিল বাংলা সুগার মিলস
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
  • বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে
  • ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬৮ শতাংশ
  • শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান