জিহ্বায় ঘা হলে খাবার খেতে এবং কথা বলতে সমস্যা হয়। এমনটি ঢোক গিলতে গেলেও অসুবিধা লাগে। ধূমপান বা মদ্যপানকারীদের এই সমস্যা বেশি হয়। মুখে আলসারের কারণেও হতে পারে জিহ্বায় ঘা। এ ছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়, বয়ঃসন্ধিকালে এবং মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনকালে জিহ্বায় ঘা দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে সাধারণ একটি কারণ হলো মুখের যত্নে অবহেলা করা।
মুখে যাতে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণু আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এ ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায়ে মুখের যত্ন নিশ্চিত করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন:
ব্যায়ামের আগে ওয়ার্ম আপ করা কেন জরুরি
পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে যা করতে পারেন
অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন
জিহ্বায় ঘা হলে অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন। অ্যালোভেরা ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে।
গরম পানিতে বেকিংসোডা ফুটিয়ে পান করতে পারেন
গরম পানিতে বেকিং সোডা ফুটিয়ে নিন। এরপর পানির অতিরিক্ত গরমভাব দূর হতে দিন। কুসুম-গরম অবস্থায় বেকিংসোডা মিশ্রিত পানি পান করুন জিহ্বার ঘা দূর হয়ে যাবে।
ক্ষতস্থানে মধু লাগাতে পারেন
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্ষমতা। এই উপাদান ক্ষত কমাতেও সহায়তা দেয়। এজন্য অল্প পরিমাণে মধু জিহ্বার ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। এতে দ্রুত ক্ষত ভালো হবে।
পনেরো দিনের বেশি জিহ্বার ঘা স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটি ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের আধিপত্য মোকাবিলায় এবার যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বিরল খনিজ চুক্তি
বিরল খনিজ শিল্পে চীনের আধিপত্য মোকাবিলা করার উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই বিরল খনিজ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইয়ের দলের বড় জয়
দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য নীতি, বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং সমন্বিত বিনিয়োগের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
টোকিওতে আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও বিরল মৃত্তিকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ট্রাম্প প্রথমবারের মতো তাকাইচির সাথে দেখা করার সময় এই চুক্তিটি করা হয়। যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর আলোকপাত করা হয়েছিল।
বিবিসি বলছে, তাকাইচির জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে দেখা এই বৈঠকে দুই নেতা তাদের দেশের মধ্যে জোটের জন্য একটি নতুন ‘স্বর্ণযুগের’ সূচনা করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি পণ্য রপ্তানিতে এখন ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল কিন্তু মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হয়েছে।
টোকিওতে বৈঠকের সময় জাপানের প্রথম নারী নেতা সানা তাকাইচির প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাম্পের বন্ধু এবং গল্ফিং অংশীদার প্রয়াত জাপানি নেতা শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ মিত্র তাকাইচি বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করবেন।
রয়টার্সের মতে, তাকাইচি এই বছরের শুরুতে স্বাক্ষরিত ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে মার্কিন বিনিয়োগের একটি প্যাকেজ অফার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ এবং মার্কিন সয়াবিন, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পিকআপ ট্রাকের বর্ধিত ক্রয়।
জাপানের পর, ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়ে যাবেন, যেখানে তিনি চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন।
বর্তমানে বিশ্বের ৭০ শতাংশ বিরল খনিজ আহরণ এবং ৯০ শতাংশ প্রক্রিয়াজাতকরণ একাই নিয়ন্ত্রণ করে চীন। এই খনিজগুলো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ ও গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কোম্পানি এই খনিজ হাতে পেতে চীনা সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল, যা তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি ও দুই দেশের বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের জেরে চীন সম্প্রতি বিরল খনিজ সরবরাহ সীমিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার পর এ ঝুঁকি আরো বেড়েছে।
ওয়াশিংটন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য চীনের উপর নির্ভরতা কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়।
জাপানে প্রচুর পরিমাণে বিরল মৃত্তিকা খনিজ রয়েছে বলে জানা যায়, তবে এর বেশিরভাগই সমুদ্রের নিচে রয়েছে, যার ফলে খনন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ