চট্টগ্রামে ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে লাইনচ্যুত ট্রেন
Published: 28th, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাগরিকা স্টেডিয়াম এলাকায় ট্রাককে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেছে মালবাহী একটি ট্রেনের ইঞ্জিন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে মালবাহী ট্রেনটি যাত্রা করে। সাগরিকা রেলগেট এলাকায় সিগন্যাল অমান্য করে ট্রাক রেললাইনে উঠে পরে। এসময় ট্রেনের ইঞ্জিন ট্রাকটিকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়, ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। রেলওয়ে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
আরো পড়ুন:
ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
জামালপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নিহত ৪
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, “সাগরিকা এলাকায় ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষের কারণে মালবাহী ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। এই লাইন কেবল মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনো প্রভাব পড়েনি।”
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকাজ শেষ হলে দ্রুত লাইন সচল করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালকের অসতর্কতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ স্বজনের, থানায় মামলা
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাড়ি থেকে তুলে ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক গৃহবধূ মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে ত্রিশাল থানায় তিনি মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়া মাত্রই পেছন থেকে মুখ চেপে কাঁধে তুলে বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে একটি ধানখেতে নিয়ে যান আকমল। ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই নারীর চিৎকার শুনে তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে আকমল পালিয়ে যান।
ওই গৃহবধূর ছোট ভাইয়ের দাবি, তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন আকমল। ঘটনার দিন ভোরে ভাগনির ওড়না জড়িয়ে টয়লেটে যান বোন। সেই ওড়না দেখে ভাগনি মনে করে তাঁর বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ভয়ে তাঁর বোনের পরিবার থানায় যেতে পারেনি। তাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই অবস্থায় তিনি বোনকে নিয়ে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানালে পুলিশ মামলা নেয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার ভাষ্য, ওই গৃহবধূর স্বামী দিনমজুরি করেন। এই দম্পতির দুই সন্তান। সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরী দেখতে মায়ের মতো। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য আকমল। তিনি মাস দুয়েক ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
আজ মঙ্গলবার এই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা আছে জানিয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে—লোকজন এমন কথা বললেও মামলার অভিযোগে এমন কিছু বাদী লেখেননি।