আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠেয় ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে (আইআরও) অংশ নিচ্ছে প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী ১০ শিক্ষার্থী। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহায়তায় আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে তারা। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত ৭ বছরে বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ ৭৩টি পদক অর্জন করেছে। গত মাসে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর এই জাতীয় দল নির্বাচন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলো মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঁঞা, ওয়াইডাব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নুসাইবা তাজরিন তানিশা, উইলিয়াম কেরি একাডেমির জাইমা যাহিন ওয়ারা, স্কলাস্টিকার প্রিয়ন্তী দাস, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের রিদোয়ান রাব্বানী এবং আনন্দ মোহন কলেজের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল টিটু।

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কোচ ও সহকারী কোচ হিসেবে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশ নেবেন মিশাল ইসলাম ও এম তানজিম আল ইসলাম। দলনেতা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি মুনির হাসান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামালও আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে উপস্থিত থাকবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনা–ইনুর অডিওতে স্পষ্ট বলা আছে, কারফিউ হবে কিন্তু গুলি হবে না: আইনজীবী মনসুরুল

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর অডিও কথোপকথনে স্পষ্ট ‘কারফিউ হবে কিন্তু গুলি হবে না’ বলা আছে বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ইনুর এই আইনজীবী এ কথা বলেন।

জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) সভাপতি ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা একটি মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ। সেই মামলায় ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি আজকে এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থেকে ইনুর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

অব্যাহতির আবেদনের সময় ট্রাইব্যুনালে যেসব কথা বলেছেন, তা পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে জানান আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনুর সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) শেখ হাসিনার যে টেলিফোনিক কনভারসেশন সেখান থেকে আমি উদ্ধৃতি করে দেখিয়েছি যে, উনাদের কনভারসেশনে স্পষ্টত উনারা বলেছেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান করতে হবে। যাতে আন্দোলন বেগবান না হয়, সে জন্য কারফিউ জারি করে, যাতে করে মানুষ আনরুলি (অবাধ্য) না হয় এবং সহিংস কোনো ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য ইনু শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন।’

মনসুরুল হক বলেন, ‘এবং শেখ হাসিনাও বলেছেন যে কারফিউ হবে, কিন্তু কোনো গুলি হবে না। স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। এবং বলেছেন, কেউ যদি কোনো ভায়োলেন্ট অ্যাক্ট করে তাকে অ্যারেস্ট করা হবে, থানায় নিয়ে যাওয়া হবে, টেলিভিশনে প্রচার করা হবে যে তাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে থানায় রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় এই কনভারসেশন থেকে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, আওয়ামী লীগ সরকারসহ ১৪ দল সাধারণ জনগণের আন্দোলন দমন করার জন্য কোনো অন্যায়ের আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই। ট্রাইব্যুনাল আমাদের কথা শুনেছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষ ইনুর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ এনেছে বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, একটি সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি (শীর্ষ নেতৃত্বের দায়) এবং অন্যটি কমপ্লিসিটি (সম্পৃক্ততা)। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করার এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত ইনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি। কমপ্লিসিটি বা সম্পৃক্ততার ব্যাপারেও তথ্য-উপাত্ত আনতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ২৩ অক্টোবর এ মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। আগামী ২ নভেম্বর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ