বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে কাজ করছে প্রতিযোগিতা কমিশন : ড. আখতারুজ্জামান
Published: 28th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ড. মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রতিযোগিতা আইন মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে এবং প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছেন।
আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সিন্ডিকেট ও কার্টেল কার্যক্রম বন্ধ হবে, ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা পাবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এতে উদ্যোক্তারা নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত হবেন, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “প্রতিযোগিতা আইন- ২০১২ এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যাবলী বিষয়ক অবহিতকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামগ্রিক উন্নয়নে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সবাই চান, ব্যবসায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকুক।
তবে নতুন আইন যেন ব্যবসার বিকাশে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতা কমিশন আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সিন্ডিকেট ও কার্টেল কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমরা শুনতে পাই মাছে, ফল,ও শাকসবজিতে শ্যাম্পু রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বাজারজাত করে থাকে। এর ক্ষতিকর দিকগুলি ভয়ানক এবং এটা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এটা হয়তো তাদের জানা নেই।
শুধু বড় বড় সিন্ডিকেট ও বড় বড় ব্যবসায়ীরাই নয় যার যেখানে সুযোগ আছে সেখানেই সেই সুযোগ কাজে লাগায়। আমরা চাই কারো মধ্যে কোন প্রকার সিন্ডিকেট থাকবে না সকল ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট মুক্ত চাই। আমাদের সকল ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে।কারণ আমরা সকল ক্ষেত্রে আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে পারছি না।
শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এমনকি কোন জায়গায় পুরোপুরি আস্তার জায়গা তৈরি করতে পারছি না। মানুষ আস্থাহীন হয়ে পড়ছে। মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না সে যেটা চাচ্ছে তার সমাধানটা এখানে হবে।
তাই এই জায়গাটা তৈরি করা খুবই প্রয়োজন। তাই আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ দিয়ে সবাই যার যার অবস্থান থেকে আস্থার জায়গাটা তৈরি করতে হবে। আমাদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।
মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজ নিলুফা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি, নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নারায়ণগঞ্জ ক্যাব, নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্ৰহন করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল আম দ র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবি যৌক্তিক : রেলওয়ে সচিব
নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা রেলওয়ের গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় সচিব বলেন, “মেট্রোরেল এরকম স্যাটেলাইট শহর বা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে বাস্তবায়নের দাবি একেবারেই যৌক্তিক। বিদেশের বহু শহরে রাজধানীর পাশে অবস্থিত শহরগুলোতেও মেট্রোরেল সংযোগ রয়েছে। কাজেই নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল নিয়ে দাবি যথাযথ।”
তবে বিষয়টি সরাসরি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “মেট্রোরেল প্রকল্প বর্তমানে সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
আমি এসেছি আপনাদের কথা শুনতে ও দাবি সংশ্লিষ্ট ফোরামে পৌঁছে দিতে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও আমাদের উপদেষ্টার কাছেও আপনাদের আকুতি তুলে ধরব।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আট জোড়া ট্রেন চলছে। অতিরিক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। তবে শহর ও বন্দরের যাতায়াত সুবিধা বিবেচনায় রেখে ট্রেন পরিচালনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
সভায় রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থানীয় ও অস্থায়ী দোকানপাটের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সচিব মো. নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. সোহেল রানা, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামী মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, বর্তমান আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।