সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অজয় চন্দ্র বর্মণের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে ঘুরে গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘প্রহসনের বহিষ্কার, মানি না মানব না’, ‘অজয়ের বহিষ্কারাদেশ, প্রত্যাহার করতেই হবে’, ‘জাস্টিস ফর অজয় বর্মণ’ ইত্যাদি।

মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল হোসেন বলেন, ‘অজয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিল। অস্ত্র ও মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রশাসনের এই অযৌক্তিক বহিষ্কার পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

একই বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসন আপিলের সুযোগ দিয়েছে। আমরা বলছি, অজয় কোনো মাদক ও অস্ত্রের সঙ্গে জড়িত নয়। এই বহিষ্কারাদেশ অন্যায্য। আমাদের জুনিয়রের ওপর এমন অবিচার হতে দেব না। আমরা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিচ্ছি, দ্রুত সময়ে অজয়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাব।’

২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং আবাসিক হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ৫৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শাহপরাণ হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে অজয় চন্দ্র বর্মণকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অজয় চন্দ্র বর্মণ বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।

১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।‎

‎কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই ‎মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’

নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
  • জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন
  • এক ডাক্তারের বদলি বাতিল, আরেকজনের অপসারণ চাইলেন চাটমোহরবাসী
  • বাস্তবের ‘জীবন নিয়ে খেলা’
  • মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
  • পঞ্চগড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন
  • ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই