ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলায় ইচলাদী টোল প্লাজাসংলগ্ন এলাকায় চলন্ত বিআরটিসি বাসে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব -১১-০০০৪) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেলা পৌনে বারোটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ইচলাদী এলাকার দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। 

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আমিনুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেলা পৌনে একটার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বিআরটিসি বাসের চালক মো. শাহজালাল জানান, বরিশাল থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে উজিরপুরে টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে যাত্রীরা বাসের পেছনে ধোঁয়া দেখে চিৎকার দেন। এ সময় দ্রুত বাসটি থামালে যাত্রীরা নিরাপদে নেমে যান। 

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিসি বাসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, চলন্ত বাসের পিছনে বসে অপর এক যাত্রী ধূমপান করছিল। ধারণা করা হচ্ছে সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, অগ্নিকান্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঢাকা/পলাশ//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব আরট স বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে দেখায় গত ১৫ বছরের গুম-খুন মিডিয়ার চোখে পড়েনি: তথ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের গণমাধ্যম ১৯৭২–এর সংবিধানে আবিষ্ট থাকার কারণেই আওয়ামী লীগ শাসনামলের গুম-খুন নিয়ে সরব ছিল না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে দেখতে চাওয়ার প্রবণতার কারণেই গত ১৫ বছরে গুম-খুন তাদের চোখে পড়ে নাই...গত ১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াতের যাঁরা মারা যাচ্ছিলেন, গুম হচ্ছিলেন, খুন হচ্ছিলেন, কিন্তু আমরা এখানে মিডিয়ার লোকদের কী করতে দেখছি?’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মাহফুজ আলম।

‘মিডিয়ার কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট’ নিয়ে ভাবার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের বৃহত্তর অংশকে যদি আমি যুক্ত করি, আমিই ভালো করব। ফলে এই যে একটা গুড উইল এবং একটা যে আমাদের আন্তসম্পর্কের জায়গা, এটা যদি আমরা মিস করি, তাহলে আমরা বারবার বিভিন্ন খাদে পড়ব। এক-এগারো, তারপর আরও অনেকগুলো ক্রাইসিস আমাদের সামনে আসতে থাকবে এবং রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য হবে, সেটা আমি বারবার বলছি। এটা কোনোভাবে হুমকি বা হতাশার জায়গা থেকে নয়, বরং সোসাইটিকে ওই জায়গাতে আমরা নিয়ে যাচ্ছি।’

সে জন্য জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার বলে মনে করেন মাহফুজ আলম।

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে একটি জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণি দরকার মন্তব্য করে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমাদের আসলে জাতীয় বুর্জোয়া একটা শ্রেণি দরকার, যারা আসলে জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে...এরশাদকে (সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ) অনেক গালি দেওয়ার সুযোগ আছে, আমরা গালি দেব; কিন্তু তারপরও এবং শহীদ জিয়াউর রহমান ওনার থেকে শুরু করে মোটামুটি ’৯৬ পর্যন্ত সময়টাতে আমাদের এই বুর্জোয়া, আমরা আজকে দেখতেছি অনেক টাকাপয়সা যাদের হাতে, অনেক গ্রুপ অব কোম্পানি—তারা বেড়ে উঠছে।’

বাংলাদেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র পাকিস্তানি কিংবা উপনিবেশিক আমলাতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পেরেছে কি না, সেই প্রশ্ন রেখে মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওইটা যদি না বের হয়, তাহলে আমরা এখানে যত সুন্দর সুন্দর আলোচনা করি, পলিসি প্রপোজাল, কিছু কাজ করবে না। এটা আমি নিজে উদাহরণ।’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পরেই দেউলিয়াত্ব বরণ করেছে। কারণ, এই যে রাজনৈতিক দলের বাইরে সিভিল সোসাইটি এবং মিডিয়া কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট, যেটাকে আমরা বলি মিলিটারি-সিভিল ব্যুরোক্রেসি এবং করপোরেশনস—এই তিনটা মিলিয়ে যে নেক্সাস বাংলাদেশে, আনহোলি নেক্সাস, এই আনহোলি নেক্সাসের কাছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা খুবই গৌণ হয়ে যায়।’

‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশ ও বিদেশে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাহফুজ আলম। সংকলন গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ‘ব্রেইন’ নামের একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, বিডি জবসের সিইও ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ