তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং জানিয়েছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল হচ্ছে রোল মডেল। সোমবার আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।

২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাইওয়ান ইসরায়েলকে কঠোর সমর্থন দিয়ে আসছে। তবে বেশিরভাগ দেশের মতো ইসরায়েলেরও তাইপেইয়ের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

লাই জানিয়েছেন, ইহুদি জনগণ তাদের ইতিহাসে ক্রমাগত নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, “তাইওয়ানের জনগণ প্রায়ই আমাদের আন্তর্জাতিক অবস্থানের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং চীনের কাছ থেকে আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির মুখোমুখি হওয়ার সময় ইহুদি জনগণের উদাহরণের দিকে তাকায়। তাইওয়ানের জনগণ কখনো হতাশ হয় না।

লাই জানিয়েছেন,কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে থামানোর জন্য তোষণ কখনোই উপায় ছিল না এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তির ধারণাটি ইসরায়েলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানীয় সমাজ বছরের পর বছর ধরে মেনে আসছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য ত ইওয

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে গণসংযোগে বিএনপি নেতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর মাঠে নামলেন স্ত্রী

গণসংযোগ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক সপ্তাহ আগে মৃত্যু হয় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হকের। স্বামী হারানোর এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার গণসংযোগ শুরু করেছেন তাঁর স্ত্রী নূরুন্নাহার হক।

নূরুন্নাহার হক ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের (ভাষা মতিনের) ছোট বোন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

হামিদুল হক টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ১২ অক্টোবর থেকে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছিলেন। ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় গণসংযোগ শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ সোমবার সকালে নূরুন্নাহার হক দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় প্রয়াত হামিদুল হকের অনুসারী নেতা-কর্মী ও তাঁর ছেলেমেয়েরা সঙ্গে ছিলেন।

নূরুন্নাহার হক বলেন, ‘আমার স্বামী দলের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জনগণের মাঝে প্রচার করতে বের হয়েছিলেন। প্রচার করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তাঁর স্ত্রী হিসেবে আমি বসে থাকতে পারি না। তাই তাঁর মতো আমিও জনগণের মাঝে ৩১ দফা প্রচারণা করতে মাঠে নেমেছি।’

হামিদুল হকের বড় ছেলে মিল্টন হক বলেন, ‘আমার বাবা আজীবন রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। মা নূরুন্নাহার হকও রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি বাবার সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাশে থাকতেন। তাই বাবার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে শোক ভুলে রাজনীতির মাঠে নেমেছেন।’

নূরুন্নাহার হক পাথরাইল থেকে গণসংযোগ শুরু করে পথে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কারের লিফলেট বিতরণ করেন। দুপুরে দেলদুয়ার উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফেরদৌস আহমেদ, সহসভাপতি আজাদ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে ফাজিলহাটি, লাউহাটি, এলাসিনসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি–জামায়াত বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, দাবি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
  • ধর্মকে বিকৃত করে নির্বাচন বানচাল জনগণ মানবে না: ফারুক
  • উন্নয়নের বয়ান ও মেগা প্রকল্পের রাজনীতি
  • ‘শেখ হাসিনার কাঠামোয় নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না’
  • কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ 
  • দল যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের ভোট চাওয়ার দরকার নেই: ফরিদ আহমেদ
  • অবৈধ অর্থ উদ্ধারে আইন বাস্তবায়নের দাবি রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের
  • এনবিআর নিয়ে বিএনপির ভিন্ন পরিকল্পনা আছে: সালাহউদ্দিন
  • টাঙ্গাইলে গণসংযোগে বিএনপি নেতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর মাঠে নামলেন স্ত্রী