এখন থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অর্থ পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলো নিজেই সরকার অনুমোদিত আন্তসীমান্ত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় বিল পরিশোধ করে দিতে পারবে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি পরিশোধে নিয়ম সহজ হলো। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো সরকার অনুমোদিত আন্তসীমান্ত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে বিদেশে অর্থ পাঠাতে করতে পারবে। এ জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে না। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে আমদানি করা বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ প্রক্রিয়াকে সহজ করা। এটি সরকার অনুমোদিত দ্বিপক্ষীয় বিদ্যুৎ ক্রয় ব্যবস্থার আওতায় প্রযোজ্য হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকগুলো বিদেশি সরবরাহকারীর কাছে আমদানি করা বিদ্যুতের বিপরীতে অর্থ প্রেরণ করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রাসংক্রান্ত নিয়মকানুন, গ্রাহক যাচাই, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া যেখানে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা প্রয়োজন, সেখানে প্রচলিত আমদানি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যাবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ আমদ ন র ক র অন ম অন ম দ ত র অন ম দ পর শ ধ অর থ প

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ সুরমায় বিএনপির গণসমাবেশ, কাইয়ুম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চণ্ডীপুল এলাকায় গণসমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি। সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীকে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান নেতা–কর্মীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার এবং ধানের শীষ প্রতীকের জনসম্পৃক্ততা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

কর্মসূচিতে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীকে সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে যুবদলে এবং এখন বিএনপির রাজনীতি করছেন কাইয়ুম চৌধুরী। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি অসংখ্য মামলা ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি আহত হন। তাঁর মতো পরীক্ষিত রাজনীতিবিদকে তৃণমূলের কর্মীরা দলের প্রার্থী হিসেবে চান।

সমাবেশে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখিয়ে বা কৌশলের আশ্রয়ে রাজনীতি করতে চায়, এমন শক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যারা ছলচাতুরির মাধ্যমে জনগণকে ঠকাতে চায়, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় আমরা ভেঙে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আন্দোলনের ও মাঠের কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, যদি দল আমাকে আগামী নির্বাচনে এ অঞ্চল থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে, তাহলে সিলেট–৩ আসনের সকল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে কাজ করবেন।’ পরে তিনি উপস্থিত নেতা–কর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে থাকার শপথ পাঠ করান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুল ইসলাম জয়দু। জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান সুয়েব, নিজাম উদ্দিন তরফদার, নুরুল আমিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমদ পাটোয়ারী, মামুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ